খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৭ কার্তিক ১৪৩২

গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তাদের কোথায় রাখা হবে, কী বলছেন চিফ প্রসিকিউটর?

খবর প্রতিবেদন |
০১:১২ পি.এম | ২২ অক্টোবর ২০২৫

 

গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

বাকি দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আদালতের এই নির্দেশের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার নয়। তিনি আরও বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহযোগিতা পাওয়া গেছে, এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এর আগে, গত ১১ অক্টোবর এক সেনা সদর দফতরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপর ১২ অক্টোবর সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৫৪১(১) এবং প্রিজন অ্যাক্ট, ১৮৯৪ এর ধারা ৩(বি) অনুসারে ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর পাশে অবস্থিত এমইএস ভবন নম্বর ৫৪-কে সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। তবে ভবনটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য সেখানে স্পষ্ট করা হয়নি।

এই মামলাগুলোর আওতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওই তালিকায় সেনাবাহিনীর ২৫ কর্মকর্তা রয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ প্রধানও। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এত সংখ্যক চাকরিরত ও সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একযোগে এমন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, ২১ অক্টোবরের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে। সেই অনুযায়ী বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ নেওয়া হয়।

একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২০ নভেম্বর।