খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৭ কার্তিক ১৪৩২

নগরীতে ধানের শীষের প্রচার মিছিল ও লিফলেট বিতরণ

খুলনা মহানগর বিএনপিতে আন্দোলনবিমুখ ও বিশ্বাসঘাতকদের স্থান হবে না

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০৫:৪৩ পি.এম | ২২ অক্টোবর ২০২৫


খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিগত দিনে যারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে সংবাদপত্রে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন, তারা বিএনপির কেউ হতে পারেন না। বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে যারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে “বিশোধাগার” করেছেন তারা বিএনপির কেউ না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে রয়েছে। এই সময়ে যারা দল ভাঙার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা অজান্তে আওয়ামী স্বার্থই রক্ষা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছেন, তাদের কোনোভাবেই বিএনপির আদর্শিক কাঠামোর অংশ বলা যায় না। বিএনপি কারো ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয়, এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গঠিত একটি জনগণের দল। এখানে নেতৃত্ব অর্জন করতে হলে ত্যাগ, আনুগত্য ও সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকতে হবে, সংবাদ সম্মেলনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করে নয়।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে বর্ণাঢ্য প্রচার মিছিল শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর বিএনপির সভাপতি আরও বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় জিয়া পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যারা আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, সেইসব আন্দোলনবিমুখ ও পলায়নপর নেতাদের বিএনপিতে কোনো স্থান হবে না। খুলনা বিএনপি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্রকারী বা দলবিরোধীকে দলে ঠাঁই দেওয়া হবে না।

নগরীর রয়্যাল মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রচার মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিববাড়ি মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়। পথসভায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মিছিলে এসেছি, কারণ আমরা এই দেশকে ভালোবাসি। দলের ভেতরের বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় জিয়া পরিবারকে ধোঁকা দিয়েছে, আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করেছে, এমনকি বিএনপি অফিসের সামনে গড়াগড়ি দিয়ে নাটক করে নেতাকর্মীদের ধোঁকা দিয়েছে-তাদের দল কখনো মেনে নেবে না। খুলনার মানুষ এমন নেতাদের বিএনপিতে দেখতে চায় না। তুহিন আরও বলেন, খুলনা বিএনপি এখন আন্দোলনের সফলতার প্রতীক। এই বিএনপির হাত ধরেই খুলনায় ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই মাটিতে ফ্যাসিস্টদের কোনো জায়গা হবে না। আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুলনার ছয়টি আসন ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। খুলনা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ, কোনো আন্দোলনবিমুখ বা পলায়নপর ব্যক্তিকে দলে দেখতে চায় না।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজসহ থানা, ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, জাসাস, মহিলা দল, তাঁতীদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি দেশের জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা। খুলনা মহানগর বিএনপি এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।

কর্মসুচি: আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় রূপসার ফেরিঘাট থেকে রয়্যাল মোড় পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে বর্ণাঢ্য প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।