খুলনা | শুক্রবার | ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | ৮ কার্তিক ১৪৩২

সাইফ-সৌম্যের ঝড়ের পরও তিনশ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৫:১৮ পি.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৫


সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচই ছিল লো স্কোরিং। রান পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ব্যাটারদের। তবে আজ মিরপুরের স্পিন স্বর্গে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। তাদের রেকর্ড গড়া জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় বাংলাদেশ। তবে মিডল অর্ডার ব্যর্থতায় রানের গতিতে ভাটা পড়ে। তাওহিদ হৃদয়-নাজমুল শান্তদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ের ফলে তিনশ রানও স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ।

মিরপুরের কালো পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই রান তুলতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। তবে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বেশ স্বচ্ছন্দেই খেলছেন সাইফ-সৌম্য। এ দুজনের ফিফটিতে পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৪ রান।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরু থেকেই হাত খুলে খেলেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। আগের দুই ম্যাচে রক্ষণাত্মক খেললেও আজ বেশ আগ্রাসী মেজাজেই ছিলেন দুজন। ক্যারিবীয় ব্যাটারদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দুজনেই পান ফিফটির দেখা। শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে শতরানের জুটি গড়েন তারা। ১০ বছর পর মিরপুরে ওয়ানডেতে ওপেনিং জুটিতে শতরানের দেখা পেল বাংলাদেশ।

এর আগে ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস ১৪৭ রানের জুটি গড়েছিলেন। দলীয় ১৭৬ রানে ভাঙে এই সাইফ-সৌম্য জুটি। ৭২ বলে ৮০ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। তার পরপরই সৌম্যও ফিরে যান সাজঘরে। ৯ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। ৮৬ বলে ৯১ রান করেন তিনি।

এদিকে সৌম্য ফেরার পর ক্রিজে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী হন নাজমুল শান্ত। এ দুজন মিলে গড়েছিলেন ৫০ রানের জুটিতে। তবে রানের চাকা ধীরে চলতে শুরু করে এই জুটিতেই। ক্যারিনীয় ব্যাটারদের দেখেশুনে খেলে ৪৪ বলে ২৮ রান করে দলীয় ২৩১ রানে আউট হন হৃদয়। এদিকে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে এগোচ্ছিলেন শান্ত। তবে সাবেক এই অধিনায়ক আউট হন ৫৫ বলে ৪৪ রান করে। এদিকে শান্ত ফেরার পর অঙ্কণ, রিশাদ, নাসুমরাও ফিরেন দ্রুতই। তবে শেষদিকে ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান।

মেহেদী মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ২৪ বলে ৩৫ রানের জুটি। আগ্রাসী মেজাজে ১ চার আর ১ ছয়ে ৮ বলে ১৬ রান করেন তিনি। তার এই আক্রমণাত্মক ইনিংসের সুবাদেই শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৬ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।