খুলনা | রবিবার | ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ১০ কার্তিক ১৪৩২

ঝিনাইদহে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু

গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া নতুন দলগুলো নিয়ে জোট হবে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি |
০১:৩৮ এ.এম | ২৫ অক্টোবর ২০২৫


এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জোট হতে পারে। তিনি বলেন নতুন দলগুলো নিয়ে জোট গড়ার বিষয়ে আলাপ আলোচনা এগিয়েছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা আশা করছি শিগগির এ বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে প্রকাশিত হবে। তিনি  ঝিনাইদহ শহরের একটি মিলনায়তনে জেলা এবি পার্টি আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের আহার রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেলা এবিপার্টি আয়োজিত সভায় জেলার গণমাধ্যমকর্মী ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
জেলা এবিপার্টির আহবায়ক এড. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিয়ম সভার সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় যুব পার্টির সদস্য সচিব ও ঝিানাইদহ-২ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হাদিউজ্জামান খোকন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিমল সাহা, এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রবিউল ইসলাম রবি, এবিপার্টির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিনুর রহমান, ঝিনাইদহ-১ আসনে এবি পার্টির প্রার্থী এড. মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-৩ আসনের প্রার্থী মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে থেকেই দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমাদের অফিসে আক্রমণ করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের কারাগারে নেয়া হয়েছে। আমাদের অনেকেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ ছিল। জনগণ ও গণতন্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯০ এ স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শহিদ ডাঃ মিলন, নূর হোসেন জীবন দিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে দেশের জনগণ স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে হটিয়ে আবারও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ সুগম করেছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্খা তা এখনো পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল তা নানা ধরনের বিশৃঙ্খলার কারণে আজ হুমকির মুখে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বিগত আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, হাসিনার আমলে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশের অর্থ লুটপাট করে কানাডা, মালয়েশিয়ায় বেগম পাড়া বানানো হয়েছে। গুম-খুনের এক ভয়াল রাষ্ট্র কায়েম করেছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার। যে কারণে আজ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। জনগণ আর তাদের চায় না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা দেখছি, এই সরকার তিনটি রাজনৈতিক দলকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। বর্তমানের বড় দু’টি দল ও একটি অনিবন্ধিত দল এই সরকারের সুবিধা ভোগ করছে। এই তিনটি দলের বিশৃঙ্খলার কারণে আজ দুর্নীতি, দখলবাণিজ্য, পদায়ন ও বদলি বাণিজ্য এখনো বন্ধ হয়নি। আমরা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন হিসেবে আজও রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। পরে মতবিনিয়ময় সভায় ঝিনাইদহ জেলার তিনটি নির্বাচনী আসনে এবিপার্টির দলীয় তিন প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।