খুলনা | রবিবার | ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ১০ কার্তিক ১৪৩২

দীপাবলির ‘খেলনায়’ চিরতরে চোখ হারাল ৬৪ শিশু!

খবর প্রতিবেদন |
০৪:২৬ পি.এম | ২৫ অক্টোবর ২০২৫


পুরো ভারত জুড়েই প্রতি বছর মহাসমারোহে উদযাপন করা হয় দীপাবলি উৎসব, যার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো পটকা ফাটানো। কিন্তু এবারের দীপাবলি উৎসব ঘিরে বাজারে আসা একটি খেলনা বন্দুকের কারণেই উৎসবের আনন্দ এখন রূপ নিয়েছে মাতমে। বিকট আওয়াজের কারণে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই নতুন খেলনা বন্দুকের বিস্ফোরণে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে কমপক্ষে ৬৪ জন শিশু-কিশোর-কিশোরী। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে এই মর্মান্তিক তথ্য জানা গেছে।

যে কারণে জনপ্রিয় হলো বন্দুকটি
এবারের দীপাবলিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শিশু-কিশোরদের কাছে আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছিল স্থানীয়ভাবে নির্মিত একপ্রকার কার্বাইড বন্দুক। দীপাবলিকে লক্ষ্য করে অনলাইনে বন্দুকটির ব্যাপক মার্কেটিং হয়েছিল।

এই বন্দুকটি চালাতে প্রয়োজন হয় কেবল সামান্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড আর পানি। অল্প খরচ এবং আসল বিস্ফোরণের মতো আওয়াজ — দুইয়ে মিলে এটি শিশুদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়।

গুরুতর আঘাত শতাধিক শিশুর চোখে
তবে, এটি যে একটি বিপজ্জনক বস্তু, তার প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া গেলো দীপাবলির উৎসবে। গত ২০ অক্টোবর দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হওয়ার পর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে ভারতের মধ্যপ্রদেশে চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শতাধিক শিশু-কিশোর-কিশোরী। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ জন আর কখনও তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে না।

বিহারে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সংখ্যা আরও বেশি। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের তথ্য অনুসারে, শুধু রাজধানী পাটনাতেই স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন শিশু-কিশোর-কিশোরী। বিহার ও মধ্যপ্রদেশের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সামনের দিনগুলোতে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো শিশু-কিশোরদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভোপাল মেমোরিয়াল হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (বিএসএইচআরসি) চক্ষুবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডা. হেমলতা যাদব এই খেলনা বন্দুকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন, এই কার্বাইড বন্দুক কোনো সাধারণ খেলনা নয়। এটা আসলে একপ্রকার রাসায়নিক বোমা।