খুলনা | বুধবার | ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | ১৩ কার্তিক ১৪৩২

‘মোন্থা’ এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়, বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ

খবর প্রতিবেদন |
০১:১১ পি.এম | ২৮ অক্টোবর ২০২৫


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বেড়েছে এর বাতাসের গতিবেগও। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আবহাওয়ার নয় নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৪.৬° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৩.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়টি আজ (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৪০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা/রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমি-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আইএমডি বুলেটিনের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রের কাকিনাড়া এবং কলিঙ্গপত্তনম উপকূলের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’। এ সময় ওই অঞ্চলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ ছুঁতে পারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই রাজ্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্র এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূল থেকে সরানো হয়েছে লোকজনকে। ওই তিন রাজ্যে মঙ্গলবার বন্ধ থাকছে স্কুল। বাতিল করা হয়েছে বেশকিছু ট্রেন। মানুষজনের সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে, কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চল থেকে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।