খুলনা | বুধবার | ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | ১৪ কার্তিক ১৪৩২

দৌলতপুরে পারভেজ ও সুপর্ণা সাহাকে গুলি করে হত্যা : ৭ আসামির মৃত্যুদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৫:৩৩ পি.এম | ২৮ অক্টোবর ২০২৫


প্রায় ১৭ বছর আগে নগরীতে জোড়া খুনের মামলায় ৭জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দুইজন। মঙ্গলবার বিকালে জনার্কীণ আদালতে ‘ডাবল মার্ডার’র এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ। একই সাথে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
উলে­খ্য, ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি নগরীর দৌলতপুরে দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে পারভেজ হাওলাদারকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। এসময় সুপর্ণা সাহাও গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায়। 
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, দৌলতপুর পাবলার মহিদুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিথুন ওরফে শহিদ ওরফে শাহরিয়ার চৌধুরী (৩০), দেয়ানার উত্তর পাড়ার গাজী গোলাম কুদ্দুসের ছেলে তুষার গাজী (২৭), পাবলার মহিউদ্দির মোল­ার ছেলে ইমামুল কবির জীবন ওরফে সবে কাদির (২৭), দৌলতপুর নতুন রাস্তার মোড়ের গোলাম আকবর বিশ্বাসের ছেলে তুহিন (২৭), পাবলা কেশবলাল রোডের আইউব আলীর ছেলে রাজু ওরফে রাজ ওরফে তাইজুল ইসলাম (২৫), দৌলতপুরের পাবলা এলাকার এসএম ওমর আলীর ছেলে সোয়েব আহম্মেদ সুমন (২৫) ও দৌলতপুর মধ্যডাঙ্গার মোশারফ খলিফার ছেলে শাকিল (২২)। এদের মধ্যে তিনজন পলাতক।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দু’আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে মিথুন, তুষার গাজী ও তুহিন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।  
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারহানা হক ডেইজী বলেন, তদন্ত শেষে পুলিশ নয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী নথীর বরাত দিয়ে জানান, দৌলতপুরের দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে সাহাপাড়ায় সন্ত্রাসীরা গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পারভেজ হাওলাদারকে। ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে। তাকে কুপিয়ে জখম করার সময় সাহাপাড়া থেকে সুপর্ণা সাহা, তার কাকা দিলীপ সাহা ও তার স্ত্রী রেখা সাহা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক সুপর্ণা সাহাকে মৃত. ঘোষণা করেন। এঘটনায় নিহত পারভেজের পিতা নিজাম উদ্দীন বাদী হয়ে একদিন পর ৪ জানুয়ারি সাতজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-২)।  
এজাহারে আরও উলে­খ করা হয়, তৎকালীন পুলিশের বড় কর্তা শহিদুল ইসলাম রবির ছেলে মিথুন বিকেলে বাড়ি থেকে ডেকে পারভেজকে নিয়ে যায়। ওই মিথুনসহ সাতজন মিলে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ৯জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. সাবিনা ইয়াসমীন কাকলী ও এড. ফাহানা হক ডেইজী।