খুলনা | বুধবার | ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | ১৪ কার্তিক ১৪৩২

ফরিদপুরে দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন

খবর প্রতিবেদন |
০১:০১ এ.এম | ২৯ অক্টোবর ২০২৫


২০ বছর আগে ফরিদপুরে খ্রিষ্টান স¤প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ শফিউদ্দীন। এ মামলার চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া। রায় ঘোষণার পাশাপাশি পলাতক সাজাপ্রাপ্ত ওই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চর ধোপাপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।  
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৫৩), বোয়ালমারী উপজেলার গুণবাহা ইউনিয়নের গুণবাহা গ্রামের কামরুল হাসান ওরফে কামরুজ্জামান (৪৫), বোয়ালমারী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান ওরফে মনির (৪০) এবং একই ইউনিয়নের চর ধোপাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ (৬০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত দুইজন হলেন তপন রায় (৩০) ও নিকলাল মাঝি (৩৫)। তারা বোয়ালমারীর চর ধোপাপাড়া গ্রামের বিপুল কুমার বাকচীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে অজ্ঞাত ঘাতকরা তাদের ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক বিপুল কুমার বাকচী বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদ ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ ওই চার ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘাতকরা টাকার লোভে ওই দুই ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যা করে। আসামিদের গ্রেফতার করা হলেও পরে তারা জামিনে গিয়ে পলাতক হন। বহু বিলম্বে হলেও এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।