খুলনা | বুধবার | ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | ২১ কার্তিক ১৪৩২

‘আধুনিক চিকিৎসা সেবা ও সুপেয় পানি এবং টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণ নিশ্চিত করা হবে’

কয়রা-পাইকগাছার নেতা-কর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত খুলনা-৬ আসনে বিএনপি প্রার্থী বাপ্পী

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৫৫ এ.এম | ০৫ নভেম্বর ২০২৫


কয়রা-পাইকগাছার সুবিধাবঞ্চিত জনসাধারণের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন খুলনা জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব, খুলনা-৬ আসনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পী। তিনি বলেন,  ছাত্রদল-যুবদলের রাজনীতি থেকেই জনকল্যাণমূলক কাজ করেছি। জেলা বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি এবং এখনো করছি। এই দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে হামলা-মামলা জেল-জুলুমের শিকার নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে একাধিক মামলায় জামিন করেছি। এই অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার জন্য গভীর রাতেও হাসপাতালগুলোতে ছুটে গিয়েছি। ভাঙন কবলিত এই অঞ্চলের জনসাধারণের জন্য খাদ্য সহায়তাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। আল­াহর মেহেরবানি ও নেতা-কর্মী সমর্থকদের মনিকোঠায় আমাকে স্থান দেয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে খুলনা-৬ আসনে যোগ্য মনে করে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছেন। অবশ্যই ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে দলের আস্থার প্রতিফলন ঘটবে। 
তিনি মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে কয়রা ও পাইকগাছা বিএনপিসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে এ কথা বলেন। গতকাল বেলা ১১টায় খুলনা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের ভোগান্তি দূর করতেই আধুনিক চিকিৎসা সেবা ও সুপেয় পানি এবং টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণ নিশ্চিত করবো। আপনারা আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে এই অঞ্চলের জনসাধারণের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 
এদিকে কয়রা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা এম এ হাসানের সহধর্মিণী অসুস্থ অবস্থায় খুলনায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান।
তিনি তার নিজ গ্রামের বাড়িতে মা ও আত্মীয়-স্বজনের দোয়া নেন এবং তার পিতার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। বিকেলে তিনি পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের অসুস্থতার খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান, সেখানে তার চিকিৎসার তদারকি করেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, সাবেক যুগ্ম- আহবায়ক আশরাফুল আলম নান্নু, জেলা বিএনপি’র সদস্য ইলিয়াস মলি­ক, রূপসা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোল­া সাইফুল ইসলাম, রূপসা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব জাবেদ মলি­ক, খুলনা জেলা শ্রমিকদের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার সাহা, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব শেখ নাদিমুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, জেলা জাসাস সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিকাশ মিত্র, মোল­া আইয়ুব হোসেন, জিএম রাসেল ইসলাম, রুবেল মীর, মমিনুর রহমান সাগর, ইয়ারুল ইসলাম রিপন, শফিকুল ইসলাম বকুল, দিদারুল ইসলাম দিদার, এস এম জাহাঙ্গীর, মতিউর রহমান মামুন, মিকাইল বিশ্বাস, রয়েল আযম প্রমুখ।