খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | ২২ কার্তিক ১৪৩২

খুলনায় পুলিশের ৫৯তম টিআরসি ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

তথ্য বিবরণী |
০৩:৪৩ পি.এম | ০৬ নভেম্বর ২০২৫


খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশের ৫৯তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আজ বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) সকালে ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। ৫৯তম টিআরসি ব্যাচের ৫৪৬ জন প্রশিক্ষণার্থী এই সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন মোঃ মোস্তফা কামাল বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি, পিবিআই।

পরে তিনি কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ট্রফি প্রদান করেন। ৫৯তম টিআরসি ব্যাচের মধ্যে সর্ববিষয়ে চৌকস, একাডেমি ও মাঠ, শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন শেখ আবু তুরাব, এবং মাসকেট্রিতে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন মোঃ শাকিল।

অ্যাডিশনাল আইজি সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তৃতায় বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, মানবিকতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব এখন তোমাদের কাঁধে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ জীবনে আলোকবর্তিকা হিসেবে বজায় থাকবে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি বলেন, পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা নয়, সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, মাদক প্রতিরোধ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নারী ও শিশুসুরক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে পুলিশের সদস্যরাই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা আমাদের জাতীয় গর্ব। আজকের নতুন প্রজন্ম সুখী-সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

অ্যাডিশনাল আইজি আরও বলেন, তোমাদের মধ্য থেকে ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। তারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে এবং দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করবে। দায়িত্বশীলতা ও সততার সাথে জনগণের পক্ষে এগিয়ে চলবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অংশ গ্রহণ করে যাচ্ছে। প্রধান অতিথি পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসরক্ষা, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, শ্রেণিভেদে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও কর্মজীবনে আইনিসেবা জনগণের দোরগোড়োয় পৌঁছাতে নবীনদের প্রতি নিদের্শনা প্রদান করেন। দেশ ও জনগণের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখতে প্রশিক্ষণার্থীদের সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার উদাত্ত আহবান জানান তিনি।

সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট মোঃ মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া, জাহানাবাদ সেনানিবাসরে কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী সাজ্জাদ হোসেন, খুলনা পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।