খুলনা | শুক্রবার | ০৭ নভেম্বর ২০২৫ | ২৩ কার্তিক ১৪৩২

ফুলতলা স্টেশনে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ও সৈয়দপুরগামী রকেট থামবে আজ থেকে

ফুলতলা প্রতিনিধি |
০২:৪১ এ.এম | ০৭ নভেম্বর ২০২৫


দীর্ঘ তিন দশক পর ২টি ট্রেনের পুনরায় যাত্রা বিরতি পাচ্ছে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন। ট্রেন ২টি হলো বেনাপোল গামী বেতনা এক্সপ্রেস ও সৈয়দপুরগামী রকেট। বেতনা এক্সপ্রেস আপে সকাল সাড়ে ৬টায় ও ডাউনে সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে এবং সৈয়দপুরগামী রকেট আপে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এবং ডাউনে রাত আড়াইটায় স্টেশনে পৌঁছাবে বলে স্টেশন মাষ্টার ইনচার্জ জয়ব্রত সাহা জানান। নতুন করে ট্রেনের যাত্রা বিরতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে ফুলতলা উপজেলাসহ অভয়নগর ও ডুমুরিয়ার একটা বৃহৎ অংশের জনগণের মাঝে। তবে এলাকাবাসীর দাবি ফুলতলা স্টেশনে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের আপ এবং ডাউন যাত্রা বিরতি। 
অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাস বলেন ফুলতলা রেল স্টেশন একটা ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। কিছু সমস্যার কারণে এখানে দীর্ঘদিন বেনাপোল ও উত্তরবঙ্গগামী কোন ট্রেন থামতো না। ফলে আমাদের নওয়াপাড়া বা দৌলতপুর যেতে হত। এখন থেকে আমরা এখান থেকে যেতে পারবো। ফলে সময় ও অর্থ দু’টোই সেভ হবে আমাদের। শ্রমিক নেতা আঃ মজিদ মোল্লা বলেন, আমি জুট মিলে চাকুরি করাকালীন এখান থেকে বেনাপোল গিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে সরকার সেটা বন্ধ করে দেয়। স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে গঠিত কমিটির একজন সদস্য হিসেবে আনন্দিত হয়েছি আপাতত এই দুটি ট্রেন দেওয়ায়। তবে জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি এ অঞ্চলের গণমানুষের দাবি। 
ফুলতলা স্টেশনে ট্রেন থামার দাবিতে গঠিত যাত্রা বিরতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ও কিছু মানুষের বদান্যতায় আমরা এই মুহূর্তে এই দু’টি ট্রেন পেয়েছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে আরো কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি পাব। তিনি আরো বলেন ট্রেনের ব্যাপারে আমাদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম-সচিব মোঃ নুরুজ্জামান ও এমসিএসকে’র অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহিদ হাসান-এর প্রতি। 
যাত্রাবিরতি কমিটির আহক্ষায়ক মোঃ ইকতিয়ার শেখ বলেন দীর্ঘদিনের দাবি ছিল প্রাচীন এ স্টেশনে তার ঐতিহ্য ফিরে আসুক। আমাদের দাবি কিছুটা হলেও পূরণ হতে চলেছে। তবে জনগণের দাবি পুরোপুরি প্রতিফলিত এখনও হয়নি। গত সপ্তাহে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এর সহযোগিতায় রেলওয়ে উপদেষ্টার সাথে আমরা কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত আরো কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেওয়ার। স্টেশন মাস্টার জয়ব্রত সাহা বলেন, স্টেশনে জনবল সংকট ও নিরাপত্তা সমস্যায় ভুগছি। ট্রেন দু’টির যাত্রাবিরতির আদেশ আমরা পেয়েছি। কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদাও দিয়েছি। এখন অপেক্ষায় আছি এটি পূরণের।