খুলনা | শনিবার | ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ২৩ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিজেই একটা অবস্থা তৈরি করছে যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়: মির্জা ফখরুল

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩২ পি.এম | ০৭ নভেম্বর ২০২৫


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ অন্তর্বর্তী সরকার যাদের আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি তারা নিজেই একটা অবস্থা তৈরি করেছে যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়।

আজ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‍্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।

এদিন বিকেল ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই র‍্যালি শুরু হয়। র‍্যালিটি নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল, মালিবাগ ও বাংলামোটর হয়ে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হবে। র‍্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়।

সেখানে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের, অন্তর্বর্তী সরকার যাদের আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি- তারা আজ নিজেই, একটা অবস্থা তৈরি করেছে- যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। এই রাজনৈতিক দলগুলোর জোট গণভোটের জন্য চাপ দিচ্ছে। আজ খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, তারাও নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, গণভোট হলে নির্বাচনের দিনই হতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটি রাজনৈতিক দল, তারা একটি জোট বানিয়েছে। বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে যে, নির্বাচনের আগেই গণভোট হতে হবে। কেন নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে? আমরা বলেছি, আমরা গণভোট মানছি, কিন্তু গণভোট নির্বাচনের দিনই হতে হবে। কারণ দুটি ভোট করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আধুনিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তারেক রহমান। সেই সংস্কারের কাজ এই অন্তর্বর্তী সরকার শুরু করলে আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। প্রায় এক বছর এই সড়ক তৈরির কাজ করেছেন তারা। গত ১৭ অক্টোবর সব দল একমত হয়েছে- যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোতে আমরা স্বাক্ষর করেছি।

তিনি বলেন, আমরা যেগুলো গ্রহণ করিনি, কনফারেন্স করে তা বলেছি। পরবর্তীতে আমরা দেখলাম, হঠাৎ করেই উপদেষ্টা কাউন্সিলের একজন সদস্য প্রেস কনফারেন্স করে বললেন যে তাদের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে- রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে, যাতে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাহলে এতদিন ধরে যে ঐক্যবদ্ধ কমিশনে বসে সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে কাজ করেছেন, সেখানে আমাদের প্রতিনিধি ছিল, সব দলের প্রতিনিধি ছিল- তাহলে এটা কেমন হলো? অসংখ্য টাকা খরচ করে কাজটি করলেন, সেটাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো সমস্যা সমাধান হলো না।

বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় র‍্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।