খুলনা | শনিবার | ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ২৪ কার্তিক ১৪৩২

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে খুলনা বিএনপি’র আলোচনা ও দোয়া

ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান মঞ্জুর

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৩৯ এ.এম | ০৮ নভেম্বর ২০২৫


সাবেক সংসদ সদস্য ও আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন ‘৭ নভেম্বর আমাদের অনুপ্রেরণা। এদিনে আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নতুন যাত্রা শুরু করেছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দিনের তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদের পতনের পর বাংলাদেশ যে নতুন যাত্রা শুরু করেছে, সেখানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনে সেই নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করছি।’ ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের সেই পথেই যেতে অনুপ্রাণিত করে, যে পথে সত্যিকার অর্থে আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকারকে সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে বিএনপি।’
তিনি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ তেঁতুলতলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন। 
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। ঘড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের কাজটি বাংলাদেশের অগ্রগতির মোড় ঘোরানো দিক ছিল। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালনার চার বছরে জিয়াউর রহমান দেশে আমূল পরিবর্তন আনেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তা দেশকে পরবর্তীকালে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ 
তিনি আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহŸান জানান। অনুষ্ঠানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই গণআন্দোলনে বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জুলাই গণআন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মীর মোহাম্মদ বাবু এবং দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।    
মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেনর সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু ও আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু ও অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। 
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দিপু, নিজাম উর রহমান লালু, এড. গোলাম মওলা, আনোয়ার হোসেন, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইউসুফ হারুন মজনু, মজিবর রহমান ফয়েজ, গিয়াস উদ্দিন বনি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম শুকুর, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাচান, শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, এইচ এম আবু সালেক, কাজী মাহবুবুল হক, হাসান মেহেদী রিজভী, আকরাম হোসেন খোকন, এড. মুজিবর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, আব্দুল জব্বার, ওমর ফারুক, আসলাম হোসেন, ইলিয়াস মল্লিক, মেহেদী হাসান সোহাগ, জাহিদ কামাল টিটো, শামসুর রহমান, মোস্তফা কামাল, আশরাফ হোসেন, আব্দুল মতিন, মিজানুর রহমান খোকন, বাচ্চু মীর, নাসির খান, আনিসুর রহমান আরজু, রিয়াজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, শামীম খান, ইকবাল হোসেন, মিজানুজ্জামান তাজ, জাকারিয়া লিটন, মোহাম্মাদ আলী, নাহিদ মোড়ল, আলমগীর হোসেন আলম, মাজেদা খাতুন, কাজী ফজলুল কবির টিটো, শামীম আশরাফ, নুরুল ইসলাম লিটন, আলম হাওলাদার, হুমায়ুন কবির, ওমর ফারুক, মাসুদ খান বাদল, এড. ওমর আলী, শাহাবুদ্দিন আহমেদ,  সুলতান মাহমুদ সুমন, আল বেলাল, জামাল মোড়ল, কামাল উদ্দিন, অলিয়ার রহমান অলি, গোলাম নবী ডালু, এড. কামাল হোসেন, এড. রফিকুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, মোল্লা সোলাইমান, সৈয়দ গাজী, ফিরোজ  মোল্লা, ইফতেখার জামান নবীন, এ আর রহমান, ফিরোজ আহমেদ, লিটু পাটোয়ারী, মিজানুর রহমান মিজান, সেলিম বড় মিয়া, শরিফুল ইসলাম সাগর, এড. আব্দুস সোবাহান, সাখাওয়াত হোসেন, আলমগীর ব্যাপারী, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, আব্দুল হাকিম, মাহমুদ হাসান মুন্না,  খান আবু দাউদ, সমির কুমার সাহা, মুশফিকুর রহমান অভি, রাজিবুল আলম বাপ্পি, কামরুল আলম খোকন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ওহেদুজ্জামান, সজল আকন নাসিব, নূরে আব্দুল্লাহ, শামসুল আলম বাদল, ইকবাল ব্যাপারী, আশিকুর রহমান আশিক, তরিকুল আলম, পারভেজ মোড়ল, আব্দুল করিম, শাওন, মাসুদ রুমী, জামান চৌধুরী, মনিরুজ্জামান বাবু, শামীম রেজা, ইমরান হোসেন, রাজু আহমেদ রাজ, সালাউদ্দিন সান্নু, নাদের খান, হাবিবুর রহমান, জাহান আলী, সোহেল খন্দকার, কবির বিশ্বাস, ওহেদুর রহমান বাবু, জুয়েল রহমান, মাসুদ পারভেজ, ইসলাম খলিফা, সাজ্জাদ আলী, জাফর হাওলাদার, শহিদুল, কাজী সেলিম, তসির উদ্দিন প্রমুখ।