খুলনা | শনিবার | ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ২৪ কার্তিক ১৪৩২

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিয়ম

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদরোগ থাকলে বাতিল হতে পারে ভিসার আবেদন

খবর প্রতিবেদন |
০২:৩৭ পি.এম | ০৮ নভেম্বর ২০২৫


যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই নির্দেশিকা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনকারীদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা স্থূলতার মতো নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক অবস্থা থাকলে তাদের ক্ষেত্রে মার্কিন ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এই নির্দেশিকা জারি করে। যেখানে বলা হয়, আবেদনকারীদের বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী বা ব্যয়বহুল চিকিৎসাগত অবস্থা - যার মধ্যে রয়েছে কার্ডিওভাসকুলার, শ্বাসযন্ত্র, স্নায়বিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি - অযোগ্যতার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে বিবেচনা করতে ভিসা কর্মকর্তাদের, নির্দেশ দেয়।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কেএফএফ হেলথ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নির্দেশনা স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে কনস্যুলার কর্মকর্তাদের কাছে  নোটিশ আকারে পাঠানো হয়।

নির্দেশনায় বলা আরও হয়, আবেদনকারীর স্বাস্থ্য বিবেচনা করতে হবে। কিছু রোগের (যেমন হৃদ্‌রোগ, শ্বাসযন্ত্র, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক, স্নায়বিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা) চিকিৎসার জন্য কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আবেদনকারী চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সক্ষম কি না, তা মূল্যায়ন করার।

এতে যুক্তি দেখানো হয়েছে, এমন অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করা হবে যারা মার্কিন অর্থনীতির জন্য চাপ হতে পারে। এছাড়াও আবেদনকারীদের চিকিৎসা খরচ মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক উপায় আছে কিনা তাও মূল্যায়ন করতে হবে।

নির্দেশনায় জারি করা নতুন নিয়মগুলো দীর্ঘদিন ধরে যে নিয়ম চলে এসেছে তা থেকে অনেকটাই আলাদা।

এতদিন ভিসা আবেদনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা মূলত সংক্রামক রোগ শনাক্তকরণ, টিকাদান রেকর্ড এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য মান যাচাইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশনায় এই তালিকা আরও বাড়ানো হলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপের ফলে ভিসা অফিসারদের, যারা চিকিৎসাগতভাবে প্রশিক্ষিত নন, আবেদনকারীর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্পর্কে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিচক্ষণতা দেখাতে হবে।

এদিকে, অভিবাসন আইনজীবী এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী বৃহত্তর কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই নির্দেশিকার সমালোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে গণ-নির্বাসন, শরণার্থী বিধিনিষেধ এবং ধনী ও সুস্থ আবেদনকারীদের সুবিধার্থে ভিসা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসী ঠেকাতে বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নেয়। 
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস