সুন্দরবনে ঘুরতে এসে মোংলার বন বিভাগের ঢাংমারী ও পশুর নদীর ত্রিমোহনায় পর্যটকবাহী একটি জালি বোট উল্টে রিয়ানা আবজাল (২৮) নামের আমেরিকা প্রবাসী এক নারী পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। আজ শনিবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নিখোঁজের সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালাচ্ছেন বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজন।

রিয়ানা আবজাল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তার সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বনবিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, বনের ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ম্যানগ্রোভ ভেলীতে পরিবারসহ রাত্রিযাপন শেষে শনিবার সকালে ছোট্ট একটি বোটে করে ১৩ জন পর্যটক করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটক স্পটে যায়। সুন্দরবন দেখার পর দুপুরের দিকে সেখান থেকে পুনরায় মোংলার দিকে আসার সময় পথিমধ্যে তাদের বোটটি ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সঙ্গমস্থলে পৌঁছালে প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে বোটটি  উল্টে যায়। এ সময় বোটের সকলেই নদীতে পড়ে যান। তারা কেউ কেউ নিজ নিজ সাঁতরে কুলে উঠে, আবার অন্যদের আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। কিন্ত নিখোঁজ হন রিয়ানা আবজাল (২৮) নামের এক নারী পর্যটক। ওই নারী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন। পরে আমেরিকায় চলে যান তিনি। নিখোঁজ এ আমেরিকা প্রবাসীর সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে বনবিভাগ।

এ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে নিখোঁজ রিয়ানার বাবা বিমান বাহিনীর ইন্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটি জাহাজের (নৌযান) গতিতে চালিয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড ঢেঁউয়ের তোড়ে তাদের ছোট্ট বোটটি উল্টে যায়। এতে বোটের ১৩ জনই নদীতে পড়ে যান। পরে ১২ জন উঠতে পারলেও পাওয়া যায়নি রিয়ানাকে। তিনি তার নিজ ও শালা-শালীর পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে বেড়াতে আসেন। তিনি ঢাকার উত্তারাতে ১১ নং সেক্টর, ১ নং রোড ও ৯ নং বাড়িতে থাকেন। তার আসল বাড়ী বরিশালে। তবে ঘটনার প্রায় ৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনও কোন খোঁজ মিরেনি নারী পর্যটকের।