খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | ২৯ কার্তিক ১৪৩২

জর্জিয়ায় তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ২০ সেনা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০৬ পি.এম | ১২ নভেম্বর ২০২৫


জর্জিয়ায় তুরস্কের সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানে থাকা ২০ সেনা সদস্যই নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দুর্ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে যৌথ দল।

বুধবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার আজারবাইজানের গাঞ্জা শহর থেকে উড্ডয়নের পরপরই সি-১৩০ মডেলের কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিহত সেনাদের ইউনিফর্ম পরা ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমাদের বীর সহযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন।’

মন্ত্রণালয় জানায়, জর্জিয়ার কাখেতি অঞ্চলের সিগনাগি এলাকায় বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন শুরু করেছে তুরস্ক ও জর্জিয়ার তদন্তকারী দল। দেশটির সীমান্ত থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ২০২০ সালের পর এটি তুরস্কের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সামরিক বিমান দুর্ঘটনা।

জর্জিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সাকারোনাভিগাতসিয়া জানিয়েছে, বিমানটি দেশটির আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং কোনো বিপদ সংকেত পাঠায়নি।

আজারবাইজানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর আকাশে কালো ধোঁয়ার বিশাল স্তম্ভ উঠছে এবং চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়েপ এরদোয়ান এক শোকবার্তায় বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

আজারবাইজান ও জর্জিয়ার নেতারা, ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে এবং তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাকও শোক প্রকাশ করেছেন। সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন এক বিবৃতিতে জানায়, তারা তুরস্ক ও জর্জিয়াকে তদন্তে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

সি-১৩০ হারকিউলিস চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমান, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী জনবল, সরঞ্জাম ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করে থাকে।