খুলনা | শনিবার | ১৫ নভেম্বর ২০২৫ | ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে বক্তারা

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে করা জাতির সাথে তামাশা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৩৬ এ.এম | ১৫ নভেম্বর ২০২৫


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান বলেছেন, একইদিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন জাতির সাথে তামাশার শামিল। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে এমন ঘোষণা দেশবাসির প্রত্যাশা ছিলো না।স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছরেও জনতার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। দীর্ঘ এতো বছরে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো তারা সকলেই ছিলো ক্ষমতাপ্রেমি। তাদের মধ্যে ন্যূনতমও দেশপ্রেম নেই। সময় এসেছে দেশপ্রেমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশপ্রেমিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে ক্ষমতাপ্রেমিরা পালানোর সুযোগও পাবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, লক্ষ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত দেশে আজও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা আজও হয়নি। বরং তামাম দুনিয়ার মধ্যে চোরের দিক থেকে এ দেশ ফার্স্ট হয়েছে। হাজার হাজার মায়ের কোল খালি হয়েছে। আয়না ঘরের মতো ভয়াবহ বহু নির্যাতন কেন্দ্র চালু হয়েছে। চাঁদাবাজি আজও বন্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি নাই। আমরা ভারসাম্যপূর্ণ একটা দেশ গঠন করতে চাই। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাই। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসাথে করার ঘোষণা দিয়ে এবং একই প্রশ্নের মধ্যে আলাদা আলাদা চারটি অংশ রেখে গণভোটকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতিও ঝুঁকিতে পড়েছে।
মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একত্রে অনুষ্ঠিত হলে জনগণের মনোযোগ বিভ্রান্ত হবে। গণভোটের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো মানুষ যথাযথভাবে বুঝে মত প্রকাশ করতে পারবে না। এতে গণভোটের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিঘিœত হবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, গণহত্যার বিচার ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি সহ ৫ দফা দাবিতে ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে  সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরানের সভাপতিত্বে ও নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা দ্বীন ইসলাম, এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া এবং জেলা সেক্রেটারী এসে এম রেজাউল করীমের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, হাফেজ আব্দুল লতিফ, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মাওলানা আবু সাঈদ, মাওঃ দ্বীন ইসলাম, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, মাওলানা হারুন আর রশিদ, মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, মুফতি আশরাফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান সৈকত, মুফতি এনামুল হাসান সাঈদ, মোঃ হুমায়ুন কবির, মাস্টার জাফর সাদেক, মুফতী ইসহাক ফরীদি, মুফতী আজিজুর রহমান সোহেল, জাহিদুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, মোঃ মঈন উদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা মাহবুবুল আলম, এড. কামাল হোসেন, মোহাম্মদ আশরাফ আলী, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মোহাম্মদ নুরুল হুদা সাজু, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, মাওঃ নাসিম উদ্দিন, মুফতি ফজলুল হক, মুক্তিযুদ্ধা জি এম কিবরিয়া, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, বন্দ সরোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবু দাউদ, আলহাজ্ব মোঃ বাদশা খান, শফিকুল ইসলাম, মারুফ হোসেন, ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, মুফতী আমানুল্লাহ, মোঃ আবু রায়হান, এইচ এম আরিফুর রহমান, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন,  গাজী মিজানুর রহমান, মাওলানা ওমর আলী, মোঃ মঈন উদ্দিন, মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, আব্দুস সালাম, আমজাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম মামুন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মোঃ বাদশাহ খান, মোঃ মিরাজ মহাজন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুম, বন্দ আমজাদ হোসেন, মোঃ মনজুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মাওলানা আহাম্মদ আলী, হাফেজ ক্বারিমুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আলী আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ নাজিম হাওলাদার নাঈম, শিক্ষক নেতা হাফেজ মাওলানা জিএম এমদাদুল হক, মাওলানা মোঃ মাহাবুবুল আলম, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম মামুন, মোঃ আব্দুর রশিদ, মমিনুল ইসলাম নাসিব, মুফতি ফজলুল হক, এসকে নাজমুল হাসান, ছাত্র নেতা মোঃ মাহদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, মোহাম্মদ ফরহাদ মোল্লা, মোঃ হাবিবুল্লাহ, শাহরিয়ার তাজ, মাসুম বিল্লাহ, শাহরিয়ার নাফিস ও নুরুল করিম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।