খুলনা | সোমবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

খুলনায় ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে শফিকুর রহমান

তাবেদারি নয়-স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৫:৪৪ পি.এম | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাইনা, আমার বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায় বিচার, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, তাবেদারি নয়- স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্দোলনরত ৮ দল খুলনার উদ্যোগে নগরীর ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী মোড়) খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এ সব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অরাজগতা অব্যাহত আছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। মানুষ বলতে বাধ্য হচ্ছে, আগে ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ আছি। তবে এ সময় কোন ইসলামি দলের গায়ে চাঁদাবাজের তকমা লাগেনি বলে দাবি করেন তিনি।

৩৫ বছর ও তার নিচে যাদের বয়স, যারা বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতের আমীর বলেন, এবার তোমাদের ভোট নিয়ে কেউ ছিনিমিনি করতে চাইলে আমরা তা হতে দেবোনা। সেদিন আমারও যুবক হয়ে তোমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করবো। তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমাদের হাতে আমার দেশটা তুলে দিতে চাই। সেজন্য নিজেদেরকে প্রস্তত করো। তোমরা চাকরি করবে না, চাকরি দেবে।

জামায়াতের আমীর আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরে জনগনের লালিত স্বপ্ন অনেকাংশেই বাস্তবায়ন হয়নি। দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন হলেও এটা প্রকৃত উন্নয়ন নয়। দেশ ও জাতির মধ্যে ন্যায়বিচার ও সামাজিক সুশাসন আছে কিনা সেটা বিবেচ্য। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দুই ধারায় চলমান উল্লেখ করে জামায়াতের আমীর বলেন, এক ধারায় রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। অন্য ধারায় স্কুল কলেজে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা। মাদ্রাসায় খুন খারাবি হয় না। অস্ত্রবাজি হয়না। জ্ঞানের চর্চ্চা হয়। পক্ষান্তরে ৫৪ বছরে কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে সন্তানদের লাশ পড়েছে। মদ গাঁজার আসর বসেছে। মেয়েদের ইজ্জত লুট হয়েছে। অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়েছে। সভ্য হতে হলে আমাদেরকে দূর্নীতিমুক্ত হতে হবে। কিছু দল ও ব্যক্তি দফায় দফায় দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করে ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেক স্থানে আমাদের ব্যানার প্যানা পোস্টার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। তবে জনগন এখন আর পোস্টার দেখে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়না। তারা আমাদেরকে ভালোবেসে বুকের মধ্যে স্থান দিয়েছে। আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষনা দিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আরও একবার ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুশিয়ার করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীরসাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, অনেকে বলেন আমার নির্বাচনের জন্য প্রস্তত নই। কিন্ত আমার নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত। কিন্ত তারাই ফেব্রæয়ারীর নির্বাচন নিয়ে হিসাব নিকাশ করে দেখেছেন তাদের পায়ের তলে মাটি সরে গেছে। এবার নির্বাচন নিয়ে আপনারাই ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। গুন্ডামি করে, সেন্টার দখল করে, সন্ত্রাসী চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন। সেদিন ভুলে যান। সে সুযোগ আর আপনারা পাবেন না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লাম মামুনুল হক বলেছেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। ৭২ বাকশালপন্থি আর একভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থি শক্তি। তিনি বলেন, রক্তের সাগর পেরিয়ে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর যেই ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করা হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটিতে আসবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে এই মাহাত্বকে নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক। তিনি আরও বলেন, ব্যর্থ হলে ইন্টেরিম সরকার ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। কলঙ্ক নিয়ে আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। তারা চেয়েছিল ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। ৮ দল ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ থাকবে না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নেজামী ইসলামী পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার বলেন, খান জাহান আলীর শহর খুলনা, রূপালী শহর খুলনা। যারা সংস্কারের বিরুদ্ধে থাকবে, আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। যারা এদেশে শরীয় আইন চায়না তাদের লাল কার্ড দেখাবে। সিসা ঢালা এই ঐক্য ধরে রেখে আমরা ইসলামী সংসদ গড়ে তুলবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী বলেন, এদেশের সংবিধান হবে আল্লাহর কুরআন। সংসদে হবে কুরআনের আইন। যেকোনো ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবেলা করব। মানুষকে বোঝাতে হবে আল্লাহর আইন ছাড়া শান্তি সম্ভব না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান বলেছেন, যারা বলেছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিবকে খুলনায় আসতে দিবে না। তারা এসে দেখে যান বাবরী চত্বর ইসলামী দলে ভরে উঠেছে। জাতীয় নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ৫ আগস্টে জনগণ দেখেছে এদেশের জনগণ হিন্দুত্ববাদ কায়েম করতে চায় না।  বাংলাদেশের জনগণ চাঁদাবাজি দেখতে চায় না। গণভোটের প্রশ্নে তিনি বলেন, গণভোটকে হ্যাঁ বলুন, ৮ দলের প্রতিকে সিল মারুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি বিডিপির চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন বলেন, জুলাই মানে অকাতরে সংগ্রাম করে জীবন দিতে হবে না। আমরা দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছি। এদেশের মানুষ অন্য দেশের দালালি করতে চায় না। মানুষ দালালি নয় মুক্তি চায়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীরসাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লাম মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতী মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি বিডিপির চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আজাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ধ মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন।

এর আগে দুপুর ১২ টায় পবিত্র অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগরী সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দীন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার এম এ মজিদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতী শরীফ সাঈদুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা মুহা. এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম মুকুল, বাগেরহাট জেলা আমীর মাওলানা মো. রেজাউল করিম, খুলনা জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, বাগেরহাটের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম,  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগরী সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, খুলনা জেলা অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল¬াহ ইমরান, খুলনা মহানগরী সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতী ওলিউল্লাহ মাহমুদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের খুলনা জেলা সহ-সভাপতি মুফতী আব্দুল কাইয়ুম জোমাদ্দার, খেলাফত মজলিসের খুলনা মহানগরী সভাপতি এফ এম হারুন অর রশিদ, খেলাফত মজলিসের খুলনা জেলার সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক, জাগপার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো. নিজাম উদ্দীন অমিত, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের খুলনা মহানগরী সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাও মুজাহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলা সবারণ সম্পাদক মুফতী ইব্রাহিম খলিল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো. জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি বিডিপির খুলনা মহানগরী সভাপতি এডভোকেট মো. হানিফ উদ্দীন, জামায়াতে ইসলামীর যুববিভাগের মহানগরী সভাপতি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি ফজলুল হক ফাহাদ, মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম নাসির, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ফকির, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি মো. ফরহাদ মোল্লা প্রমুখ। অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী ইকরামুল কবির। এ ছাড়া প্রেরণা সাহিত্য সংসদ খুলনার আব্দুল্লাহ আল কাফি ও নবদান সাংস্কৃতিক সংগঠনের সিনিয়র পরিচালক নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে তাদের সহশিল্পীরা ইসলামী গান পরিবেশন করেন।