খুলনা | সোমবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

শিক্ষকদের পরীক্ষা বর্জন, চিতলমারীতে ১৩ হাজার শিক্ষার্থী’র অভিভাবক উদ্বিগ্ন

চিতলমারী প্রতিনিধি |
০৫:৫৪ পি.এম | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক) পরীক্ষা নিবেন না। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বিষয়টি তাঁরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস শিক্ষকদের লিখিত পত্রটি গ্রহণ করেছেন। আগামী ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) এ উপজেলার ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনে সহকারি শিক্ষকদের এ সিদ্ধান্তে সন্তানদের পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবক মহল চরম ভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

চিতলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৫২৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। এদের মধ্যে সহকারি শিক্ষক ৪৮৫ জন। তারমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৭০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য। উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হবে।

বাংলাদেশ সহকারি শিক্ষক সমিতি চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি কাজী কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খোকন মন্ডল বলেন, ‘শাহাবাগের কর্মসূচিতে পুলিশের বর্বরোচিত নির্মম জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের হামলায় শতাধিক শিক্ষক আহত এবং ফাতেমা নামে একজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। তিন দফা আমাদের প্রাণের দাবী। তাই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক) পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শিক্ষার্থী অভিভাবক আসমা বেগম, কাবেরী বিশ্বাস, বশির আহম্মেদ ও সোলাইমান খান বলেন, ‘সহকারি শিক্ষকদের এ সিদ্ধান্ত আমাদের উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠার মধ্যে ফেলেছে। তাঁরা পরীক্ষার আগে বা পরে অন্য কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারতেন।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস বলেন, ‘আমি শিক্ষকদের পরীক্ষা বর্জনের পত্রটি পেয়েছি। তাদের পরীক্ষার হলে যেতে বলেছি। তারা যদি পরীক্ষা না নেন, তাহলে প্রধান শিক্ষকরা পরীক্ষা গ্রহণ করবেন।’ চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়েছে। প্রয়োজনে তিনি প্রধান শিক্ষকদের দিয়ে পরীক্ষা নিবেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অবশ্যই হবে।’