খুলনা | মঙ্গলবার | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

কালিগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ি চিনিয়ে দেওয়ায় নারীসহ দুই জন গুলিবিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও কালিগঞ্জ প্রতিনিধি |
০২:১৮ এ.এম | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫


সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিকা অর্পণার বাড়ি চিনিয়ে দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিক ইয়ার আলীর (৫০) ছোঁড়া গুলিতে হালিমা খাতুন নামে এক নারী ও ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয় তরপদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোতা গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকা অর্পণা মন্ডলের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। স্ত্রী ও ছেলেকে প্রেমিকার বাড়ি চিনিয়ে দিতে সহায়তা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে হালিমা খাতুনকে গুলি করা হয় বলে জানা গেছে।
মাথায় গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত হৃদয় তরফদার স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গুলিবিদ্ধ আহত হালিমা খাতুন (৩৭) কালিগঞ্জ উপজেলার সোতা গ্রামের মোসলেম চৌকিদারের স্ত্রী। আর হৃদয় তরফদার (২১) শংকরপুর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি ইয়ার আলীর ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান সোতা গ্রামের ডিভোর্সি নারী অপর্ণা মন্ডলের সাথে ইয়ার আলীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। অর্পণা মন্ডল তার বাবা হরিশংকর মন্ডলের বাড়িতে থাকতেন। এই সম্পর্কের জেরে ইয়ার আলী সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে আসে। গোপন খবর পেয়ে ইয়ার আলীর খোঁজে স্ত্রী তাহমিনা খাতুন তার ছেলে হৃদয় তরফদারকে নিয়ে অপর্ণা মন্ডলের বাড়িতে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়ার আলী তার স্ত্রীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগে হালিমা খাতুনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে হালিমা খাতুনসহ হৃদয় তরফদারও গুলিবিদ্ধ হয়।
এদিকে দিন-দুপুরে গোলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইয়ার আলীর ভয়ে এলাকার কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের ছেলে সাইফুল্লাহ মনির বলেন, তার মাকে গুরুতর জখম অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে খুলনায় নেয়ার কথা বলা হয়। তার মাকে খুলনায় নেয়া হচ্ছে বলে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান তিনি।
কালিগঞ্জ থানার এসআই শাহাদাত হোসেন জানান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয়রা হালিমা খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।