খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০১:৫৩ পি.এম | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচনালগ্ন থেকেই খেলে আসছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক থেকে শুরু করে হালের সাইম আইয়ুব-আবরার আহমেদদেরও বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে দেখা গেছে। আসন্ন বিপিএলের আগে নিলাম থেকে বেশ কয়েকজন পাক তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

যদিও পুরো মৌসুমের জন্য পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা পুরো আসরে খেলতে পারবেন না। ফলে বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে দলগুলো।

আগামী বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চলতি ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ে পাকিস্তানের পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, “আমরা জানি যে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পুরো মৌসুমে পাওয়া যাবে না। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাদের শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে, আর জানুয়ারির শেষ দিকে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।”

আগামী বছরের ৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কায় ক্যাম্পও করার কথা রয়েছে ম্যান ইন গ্রিনদের। এরপর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করবে তারা।

পরের ধাপে পাকিস্তান দল ফের শ্রীলঙ্কায় যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত। আসন্ন বিশ্বকাপ হাইব্রিড মডেলে যৌথভাবে আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

এবারের বিপিএলে বেশ কয়েকজন আলোচিত পাকিস্তানি ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন—সাইম আয়ুব, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, উসমান খান, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহসহ আরও অনেকে। তবে জাতীয় দায়িত্বের কারণে তাদের বড় অংশেরই পুরো মৌসুম খেলা অনিশ্চিত।

পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, “এটা ঠিক নয় যে আমরা এনওসি (ছাড়পত্র) দিচ্ছি না। যারা আবেদন করেছে, আমরা তা প্রক্রিয়ায় রেখেছি। কারা এনওসি পাবে আর কারা পাবে না, তা বিবেচনায় দেখা হচ্ছে। জাতীয় (দলের) দায়িত্ব থাকলে অবশ্যই সেটাই অগ্রাধিকার পাবে। বিশ্বজুড়েই এ নিয়ম মানা হয়।”

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ধারণা, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে বা শ্রীলঙ্কা–অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝের বিরতিতে কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটারের খেলার সুযোগ থাকতে পারে। আর যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পরিকল্পনায় নেই, তারা বিপিএলে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।