খুলনা | শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

মেসির কাছে ক্ষমা চাইলেন মমতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৫:৪৬ পি.এম | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫


লিওনেল মেসির উপস্থিতি এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল কলকাতাবাসীর জন্য। নানা অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের অনুষ্ঠানকে ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সল্টলেক স্টেডিয়াম শনিবার যে অব্যবস্থা দেখা গেল, তাতে আমি বিচলিত এবং স্তম্ভিত। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং তাঁর ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

পূর্ব নির্ধারিত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যান মেসি। সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মেসি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাবেক ফুটবলার এবং সেলিব্রেটিরা। ভিড়ে পড়ে বেশ বিরক্ত ছিলেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ দি পল ও সুয়ারেজ। এমন ভিড়ের কারণে গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি ভক্তরা। চড়া দামে টিকিট কিনে বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। শুরু হয় ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান।

পরিস্থিতি খারাপ দেখে ১২টার কিছুক্ষণ আগে মেসিকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্যালারি থেকে একের পর এক বোতল ছোড়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় গ্যালারির চেয়ার। বোতলের মতো ভাঙা চেয়ারও ছোড়া হয় মাঠে। কয়েকজন আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করেন পুলিশ সদস্যরা। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।

গ্যালারির সীমানা ভাঙেন উত্তেজিত ভক্তরা। একপর্যায়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দুই-আড়াই হাজার মানুষ। কয়েকজন ছিঁড়ে ফেলেন গোল পোস্টের জাল। ভেঙে ফেলেন সাজঘরে যাওয়ার ট্যানেলের ছাউনি। মাঠের পাশে রাখা সোফা পোড়ানো হয়। উপড়ে ফেলা হয় তাঁবুসহ একাধিক জিনিস। এককথায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যুবভারতী। অনেকে তো মাঠের কার্পেট, ফুলের টবসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। সব মিলিয়ে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল ভেন্যুটির।