খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৪ পৌষ ১৪৩২

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

‘জাতি তার সূর্য সন্তানদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:৪৩ এ.এম | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫


যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় খুলনায় মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয় মঙ্গলবার। প্রত্যুষে খুলনার বয়রাস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর ইউনিট, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ, কেসিসি প্রশাসক, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, জেলা প্রশাসক আ স ম জামশেদ খোন্দকার, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। এ সময় রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুব রহমান, জেলা প্রশাসক আ স ম জামশেদ খোন্দকারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা উদ্বোধন করা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেসিসির প্রশাসক মোঃ মোখতার আহমেদ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের আয়োজনে আলোচনা সভা এবং নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে দিনব্যাপী মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা দেয়া হয়। 
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সূর্য সন্তান। তাদের অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাদের অবদান ভোলার নয়।
খুলনা জেলা প্রশাসক আ স ম জামশেদ খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিটের আহŸায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের আহŸায়ক মোঃ আবু জাফর ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাকিব রায়হানের মা বেগম নুর নাহার। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য সকাল নয়টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয়। রেল, স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ সজ্জিত করা হয়। জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, নৌকা বাইচ, ফুটবল ও হা-ডু-ডু খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শহীদ হাদিস পার্ক, শিববাড়ি মোড়, দৌলতপুর শহীদ মিনার, রূপসা মোড়, গল্লামারী মোড়, খালিশপুর মোড়সহ উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে সিনেমা হলসমূহে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং শহরের শহীদ হাদিস পার্কে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত, মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে- কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক, খুলনা রিভারভিউ পার্ক, বয়রা শিশুপার্ক, লিনিয়ার শিশুপার্ক, উল্লাস বিনোদন পার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্কসহ সকল পার্ক বিনাটিকেটে শিশুদের জন্য উম্মুক্ত এবং পর্যটন কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিনা টিকিটে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ও ফুলতলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।
পূর্ব রূপসাঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের মাজার প্রাঙ্গণে তাঁর বীরত্ব ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া, কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়।
মাসব্যাপী বাংলাদেশ বেতার খুলনা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসভিত্তিক অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।  এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ও প্রভোস্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, বিভিন্ন স্কুল (অনুষদ), ডিসিপ্লিন (বিভাগ), প্রভোস্ট কাউন্সিল, বিভিন্ন দপ্তর, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনসিসি আর্মি, নেভাল ও এয়ার উইংয়ের সদস্যরা শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এছাড়া রাতে আবাসিক হলগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, সড়ক, বিভিন্ন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনা দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌলতপুরস্থ দেয়ানা মধ্যপাড়ায় অস্থায়ী ক্যাম্পাস-১ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সকাল ১০টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান, রেজিস্ট্রার মোঃ রেজাউল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দিবস উপলক্ষে সারাদিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস-১ এ প্রীতি খেলাধুলা ও কালচারাল কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় অডিটরিয়ামে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের অংশগ্রহণে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাকসুদ হেলালী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভ‚ঞা। সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. বিএম ইকরামুল হক। সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘দুর্বার বাংলা’র পাদদেশে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাকসুদ হেলালী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) এবং বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দদের সাথে নিয়ে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির সূর্য সন্তান বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিএনসিসি’র একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদর্শন করেন। পরববর্তীতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, ফজলুল হক হল, খান জাহান আলী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, শহীদ স্মৃতি হল এবং মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতি। সকাল সাড়ে ১০টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. বিএম ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাকসুদ হেলালী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভ‚ঞা। অন্যান্যের বক্তৃতা করেন প্রফেসর ড. মোঃ হেলাল-আন-নাহিয়ান, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ মঈনুল হক, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসিব সরদার। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শেখ ওমর ফারুক। 
এছাড়া, বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শিক্ষক বনাম ছাত্র প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, বাদ আসর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন : দিবস উদযাপনে প্রত্যুষে প্রশাসক মোঃ মোখতার আহমেদ-এর নেতৃত্বে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে আয়োজিত কর্মসূচি শুরু হয়।   সকাল ৯টায় নগর ভবনে শিশুদের রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সকাল ১০টায় শহীদ হাদিস পার্কে প্রীতি হাডুডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসক মোঃ মোখতার আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং হাডুডু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ, সদ্য যোগদানকৃত সচিব আরিফুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদসহ কেসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম। 
এছাড়া দিবসটি পালন উপলক্ষে নগর ভবনসহ কেসিসি’র সকল স্থাপনা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কেসিসি’র গুরুত্বপূর্ণ ভবনসহ নগরীর প্রবেশদ্বার, আইল্যান্ড ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিতকরণ, নগর ভবন, প্রশাসক ভবন, খালিশপুর শাখা অফিস, বীর বাঙালি ভাস্কর্য ও শহীদ হাদিস পার্ক আলোকসজ্জিত করা, শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য খালিশপুরস্থ ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক ও গল্লামারীস্থ লিনিয়ার পার্কে বিনামূল্যে প্রবেশের জন্য উম্মুক্ত রাখা এবং বিকেল ৪টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  
খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি একাদশ ও জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় ২-২ গোলে ড্র হয়। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। কেসিসি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।   
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে : মহান বিজয় দিবস-উদযাপন করা হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের মোংলাস্থ স্মৃতিসৌধে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন এবং সিবিএ’র এডহক কমিটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সদস্য (হারবার ও মেরিন) সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকার, সদস্য (অর্থ) ও পরিচালক (প্রশাসন, অঃ দাঃ) মোঃ কাজী আবেদ হোসেন (যুগ্ম-সচিব), সকল বিভাগীয় প্রধান, বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিবিএ’র এডহক কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান মোংলা বন্দর হতে অবসরপ্রাপ্ত ৩১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 
এর পূর্বে দিবস উপলক্ষে বন্দরের জেটির প্রধান ফটক ও খুলনাস্থ প্রধান ফটক আলোকসজ্জাকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মবক’র জলযানসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দ্বারা সুশোভিতকরণসহ সদর দপ্তর হতে শুরু করে জেটির প্রধান ফটক পর্যন্ত রাস্তার দুইধার রঙিন পতাকা দ্বারা সুশোভিত করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজে এক মিনিটকাল বিরতিহীনভাবে হুইসেল বাজানো এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় পতাকা ও বন্দরের পতাকা উত্তোলন করা হয়। 
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন মোংলা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোংলা এবং পোর্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনায় ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে (স্থায়ী বন্দর মোংলা ও খুলনা) প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালে ভর্তিরোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। 
বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনাসহ, দেশ ও জাতি এবং বন্দরের সার্বিক উন্নতি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি : ইউনিভার্সিটির নগরীর তেঁতুলতলা মোড়স্থ ভবন-২ এ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। লিবারেল আর্টস এন্ড হিউম্যান সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডীন এবং বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক শেখ মাহরুফুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ড. রেজাউল আলম, সদস্য সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রসেসর কানাই লাল সরকার। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন ড. মোঃ ইমজামাম-উল-হোসেন, রেজিস্ট্রার ড. শেখ শফিকুর রহমান, প্রক্টর শাকিল আহমেদ, বিভাগীয় প্রধানগণ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পরে দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সবুজবাগ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ নাসরুল্লাহ। এর আগে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে মহান দিবস উপলক্ষে সকালে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য  অর্পণ করা হয়।
খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় : দিবস উপলক্ষে সকালে ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং গল্লামারীস্থ স্বাধীনতার স্মৃতিসৌধে উপাচার্য (ডেজিগনেট) প্রফেসর ড. মোঃ আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা সহকারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন অুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর (ইনচার্জ) সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
আনসার ও ভিডিপি খুলনা রেঞ্জ : দিবসটি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী খুলনা রেঞ্জ ও জেলা কার্যালয় যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করেন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক মোঃ নূরুল হাসান ফরিদী বিএএম পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ছিলেন পরিচালক খুলনা ব্যাটালিয়ন (৩ বিএন) মোল্লা আবু সাইদ, আনসার ও ভিডিপি রেঞ্জ কার্যালয় খুলনার উপ-পরিচালক এ এস এম আজিম উদ্দিন জেলা কমান্ড্যান্ট খুলনা মোঃ মিনহাজ আরেফিন, আনসার ও ভিডিপি রেঞ্জ কার্যালয়, খুলনা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আজম চৌধুরী।  রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রদত্ত বাণী রেঞ্জ ও জেলা কার্যালয়ের সকল স্তরের সদস্যদের পাঠ করে শোনান আনসার ও ভিডিপি রেঞ্জ কার্যালয়, খুলনা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আজম চৌধুরী। এদিন বাদ যোহর নামাজের পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনাসহ জাতির সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক, জেলা কমান্ড্যান্ট, রেঞ্জ ও জেলা কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন আনসার উপস্থিত ছিলেন। 
আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ : বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। সকাল ৭টায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গল্লামারি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। সকাল ১০টায় মোস্তাফিজুর রহমান মিলনায়তনে দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ নাছিমা রহমান এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম। আয়োজক কমিটির আহŸায়ক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল ফজলের  সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন প্রফেসর ড. মোঃ নুর আলম, প্রফেসর তারক চাঁদ ঢালী, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ বদর উদ্দিন খান,  প্রভাষক মোঃ জাকির হোসেন। সহকারী গ্রন্থগারিক মোঃ হুমায়ুন কবির, প্রধান সহকারী মোঃ আতিয়ার রহমান, ছাত্র প্রতিনিধি শেখ শামসাদ হোসেন আবিদ ও মোঃ তারেক রহমান এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শেখ শাহরিয়ার নাফিজ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক শামসুন নাহার। কলেজ মসজিদে বাদ যোহর সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল ১০টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কলেজ মাঠে টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা প্রেসক্লাব : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, আহমদ মুসা রঞ্জু ও আশরাফুল ইসলাম নূর, ক্লাব সদস্য মোঃ রাশিদুল ইসলাম, মোস্তফা জামাল পপলু, মোঃ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক রানা, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, ইয়াসিন আরাফাত রুমি ও মোঃ রকিবুল ইসলাম মতি।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান সুমন, সোহেল মাহমুদ, আল মাহমুদ প্রিন্স, মোঃ এজাজ আলী, রিংটন মন্ডল, এম এ জলিল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য শেখ ফেরদৌস রহমান, মিলন হোসেন, মোঃ মেহেদী মাসুদ খানসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।  
এর আগে, ১৬ ডিসেম্বর সকালে খুলনা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 
এমইউজে খুলনা : দিবস উপলক্ষে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) খুলনার উদ্যোগে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবস্থ ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর ভোরে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।  
ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রানার পরিচালনায় বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ নূরুজ্জামান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নূর, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রকিবুল ইসলাম মতি, সদস্য মাশরুর মুর্শেদ, বাংলাদেশ বেতার খুলনার জেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন প্রমুখ। শহীদ মুক্তিযোদ্বা এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ নূরুজ্জামান। 
কেইউজে : অনুরুপভাবে কেইউজে’র উদ্যোগে গত মঙ্গলবার দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নির্বতা পালন করা হয়। 
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা জামাল পাপলু। মহেন্দ্রনাথ সেনের পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন বিএফইউজের যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মিলন হোসেন, সাগর সরকার, বাপ্পী খান, দেবব্রত রায়, আল মাহমুদ প্রিন্স, রিংটন মন্ডল, শহিদুল ইসলাম ও শশাঙ্ক কর্মকার প্রমুখ।
খুলনা মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাব : দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর সকালে খুলনার গল্লামারী শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন শ্যূটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইফতেখার আলী বাবু, নির্বাহী সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম তুহিনসহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। 
সিইউসি : সিইউসির পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও সিইউসি’র উপদেষ্টা নগর বিএনপি’র সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সিইউসি’র সভাপতি মোঃ শাহিন হোসেনের সভাপতিতে আরিফা ইসলাম খুকুমনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিইউসি’র প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ কাজী আরিফ উদ্দিন আহমেদ, এড. মোঃ ইফতেখার আলী বাবু, মাওলানা ডিএম নুরুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ শহীদ, আরিফা ইসলাম খুকুমণি, মীমা আক্তার মনিকা, কারীমা আক্তার, সিইউসি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মুজাহিদ হোসেন মিরাজ, ঝরনা বেগম, মুফতি সাজিদুর রহমান, আকলিমা বেগম, হালিমা বেগম, মোঃ মামুনুর রশিদ, মুক্তা আক্তার, মোঃ ফজলুল হক, বিএনসিসি ক্যাডেট সুখী, ক্যাডেট শাহিন, ক্যাডেট পবন, সিইউসি স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ।
গিলাতলা ইয়াং টেন ব্রাদার্স ক্লাব : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গিলাতলা ইয়াং টেন ব্রাদার্স ক্লাবের আয়োজন দুদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। 
মঙ্গলবার সকালে ক্লাবে জাতীয় পতাকার উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইবাদুল হক রুবায়েদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ ইকবাল হোসেন। ক্লাবের সভাপতি, এশিয়ান টেলিভিশন ফুলতলা ও দিঘলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সাইফুল্লাহ তারেকের সভাপতিত্বে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান শেখ ইকবাল হোসেন। উদ্বোধক অতিথি ছিলেন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শেখ আব্দুস সালাম। সকাল ১০টায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্লাড গ্র“পিংয়ের উদ্বোধন করেন খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ খুরশিদ আলম। মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও আরমান হুসাইন ইমনের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক  ও সাবেক চেয়ারম্যান এস এ রহমান বাবুল, খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেন, জেলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ওহিদুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শুকুর, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, জেলা যুবদলের সদস্য মোল্লা মাহাবুব আলম, দিঘলিয়া থানাযুবদলেরআহŸায়ক কুদরতি এলাহী স্পিকার, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, শেখ হারুন-আর-রশিদ, মোল্লা সোহরাব হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, শেখ রেজাউল ইসলাম, মিনা মুরাদ হোসেন ও মোল্লা সোলাইমান হোসেন।