খুলনা | সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৭ পৌষ ১৪৩২

শ্যামনগরে বৃদ্ধ গোলাম হোসেন হত্যাকান্ডে থানায় মামলা, পাঁচ নারীসহ গ্রেফতার ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:৪১ এ.এম | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫


জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন মোড়ল (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই উপজেলার জাবাখালী গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দিন মোড়লের ছেলে মোঃ আব্দুল গফুর মোড়ল বাদী হয়ে শনিবার এই মামলা করেন। পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ নারীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ছুরি ও হাসুয়া উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের জবাখালী গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন মোড়লের ছেলে রেজাউল ইসলাম মোড়ল (৫০), ইমরান আলী মোড়লের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০), ইমান আলী মোড়লের দুই ছেলে সেলিম মোড়ল (৫০) ও ফারুক হোসেন (৩০), ফারুক হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৩০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মাফুজা খাতুন (৩০), সেলিম মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪০), রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মাছুমা খাতুন (৪৫) এবং ইমান আলী মোড়লের স্ত্রী ছফুরা বেগম (৬৫)। 
শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পিয়ার উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতরা নিজেদেরকে বৃদ্ধ গোলাম হোসেন মোড়ল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিবে বলে জানিয়েছে। রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে সাতক্ষীরা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের জাবাখালী গ্রামের মৃত হামেজ উদ্দিন মোড়লের ছেলে গোলাম হোসেন মোড়লদের বাড়িতে যাওয়া আসার পথ আটকানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি ইমান মোড়লের ছেলে সাইফুল মোড়ল, ফারুখ হোসেন, সলিম মোড়ল, বদর উদ্দিনের ছেলে রেজাউল ইসলাম গংদের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীমাংসার জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। কিন্তু  শনিবার বেলা ১০টার দিকে ভিকটিম মোঃ গোলাম হোসেন মোড়ল বাড়ি থেকে বের হয়ে তার পথ দিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষরা তাকে দেখে রাস্তায় আটক করে মারপিট ও বুকে ও পিটে ছুরিকাঘাত করে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার হাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে গোলাম হোসেনকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তৃব্যরত চিকিৎস্যক ডাঃ সুমন রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৫ নারীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার এবং ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ছুরি ও হাসুয়া উদ্ধার করেন।