খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১১ পৌষ ১৪৩২

সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার: তারেক রহমান

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩২ পি.এম | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা তাদের যোগ্যতানুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। আজ সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, তেমনি সমতলের মানুষও আছে। এ দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আমরা চাই, সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে। আমাদের যেকোনো মূল্যে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই। শান্তি চাই।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর ৩০০ ফিটে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

শুরুতেই দেশবাসীর প্রতি সালাম জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের শহীদরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশ গড়ার জন্য। লাখো শহীদের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। একই জনগণ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশকে রক্ষা করেছিল। একইভাবে ৯০-এর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গিয়ে এ দেশের জনগণ এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু তার পরও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। আমরা তারপর দেখেছি, একাত্তরের মতো ২০২৪ সালে এ দেশের ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ কৃষক, শ্রমিক, গৃহবধূ, নারী পুরুষ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ দল-মত-নির্বিশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।

ওসমান হাদিকে স্মরণ করে বলেন, ওসমান হাদিসহ যারা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের আমলে যারা গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে, আমাদের সকলে মিলে কাজ করতে হবে।

প্রখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’র প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেছেন, আই হ্যাভ আ প্ল্যান (আমার একটি পরিকল্পনা আছে দেশ নিয়ে)। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। কাজ করতে হলে দেশের প্রতিটা মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন ইনশাআল্লাহ আমি তা বাস্তবায়ন করতে পারব, সফল হব। নবী করীম (সা.)-এর ন্যায়ের আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার প্রচেষ্টা করব।

তারেক রহমান বলেন, যে মানুষগুলোর জন্য আমার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই মানুষগুলোকে ছেড়ে আমি কোথাও যেতে পারি না। আমরা যে দলের, যে ধর্মের যে জাতের মানুষই হই না কেন, সকলে মিলে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন নারী, পুরুষ, শিশু সকলেই নিরাপদ থাকতে পারে। আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে। সবাই মিলে আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।

ওসমান হাদিকে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, “ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে, যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে। কুড়িল মোড়সংলগ্ন এলাকায় ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয় এ উপলক্ষে।