খুলনা | শুক্রবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১১ পৌষ ১৪৩২

চর দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬, সেই ‘কোপা’ সামছুর মরদেহ উদ্ধার

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৯ এ.এম | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫


নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চর দখলকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের বিরোধে আলাউদ্দিন ও সামছু বাহিনীর ওরফে কোপা সামছু বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় এবার সামছুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চরের বনের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাতিয়া থানার ওসি মোঃ সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সামছুদ্দিন হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি চর এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হাতিয়ার চরাঞ্চলে তিনি কোপা সামছু ও সামছু বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বাকিরা হলেন হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নের চর আমানউল্যাহ গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে বাহিনীর নেতা মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫), চানন্দী ইউনিয়নের নলের চরের সেকু মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন (৪০), হাতিয়া পৌরসভার পশ্চিম লক্ষিদিয়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে হক সাব (৫৫) এবং সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ চর মজিদের জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবুল কাশেম (৬২) এবং সামছুদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন সিহাবের (২৩)। 
উলে­খ্য, এর আগে হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নের জাগলার চরের দখল নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর সামছু বাহিনী ও আলাউদ্দিন বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫ জন নিহত এবং ১০ জনের বেশি আহতের খবর পাওয়া যায়। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বাহিনীর নেতা সামছুদ্দিন ওরফে কোপা সামছুর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। ওই পরিস্থিতিতে সামছুর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, হত্যার পর তার মরদেহ গুম করা হয়েছে। সবশেষ  চরের বনের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের কথা জানালো পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোড ধরে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামি ওসমান হাদিকে চলন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
আহত শরীফ ওসমান বিন হাদিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তী সময় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার এ্যাম্বুল্যান্সযোগে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।