খুলনা | শনিবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২ পৌষ ১৪৩২

নিয়ম মেনে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতির বীর শহীদ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানালেন তারেক রহমান

খবর প্রতিবেদন |
১১:৩৬ পি.এম | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫


মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। শুক্রবার রাত ১০টার পর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আনুমানিক রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে গুলশানের পথে রওনা হন।
এর আগে বিকেলে নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে বিএনপি’র পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র নেতারা স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সবার উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, ‘রাস্তায় জনস্রোতের কারণে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এতটা সময় আপনারা অপেক্ষা করেছেন, আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে সাভার-আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হন। ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ছিল ব্যাপক জনসমাগম।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুসহ স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
নিয়ম মেনে শ্রদ্ধা : মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে কবর জিয়ারত করে সাভারের পথে রওনা হন তিনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় স্মৃতিসৌধ বেদিতে সূর্যাস্তের আগে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। এজন্য বিকেল ৫টা ৬ মিনিট বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর রায়, আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আমানউল­াহ আমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ নিপুণ রায় চৌধুরী ও ডা. দেওয়ানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, তমিজউদ্দীন, ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, আইয়ুব খান মেজর জেনারেল (অবঃ) ফজলে এলাহী আকবর ও মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।
এদিকে তার আগমন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পূর্ণ আয়োজন করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধ বেদিতে নিয়ম অনুযায়ী সূর্যাস্ত-এর আগে বিকেল ৫টা ৬ মিনিট বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে স্মৃতিসৌধ এলাকাটি সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা-ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্ব পয়েন্টে ব্যাপকসংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল থেকেই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে শুরু করে স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক পর্যন্ত এখন জনারণ্য।
হাতে ব্যানার, ফেস্টুন আর জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হন নেতাকর্মীরা। ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, ফিরলেন এবার বাংলাদেশে’, এমন নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। নেতাকর্মীদের এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের। জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, দুপুরের পর থেকেই সাভার, ধামরাই ও আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা এসে জমায়েত হতে শুরু করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্মৃতিসৌধের পুরো কমপ্লেক্স পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। স্মৃতিসৌধ এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।