খুলনা | রবিবার | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ পৌষ ১৪৩২

সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া শামীম সহযোগীসহ গ্রেফতার

‘মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বে শ্রমশক্তির নেতাকে গুলি করা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৩৬ এ.এম | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫


খুলনায় এনসিপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমশক্তির খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব সিকদারকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় মূল শুটার ডি কে শামীম ওরফে ঢাকাইয়া শামীমসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মাদক সরবরাহ ও মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ গুলি চালানো হয় বলে জানিারছে র‌্যাব। শনিবার খুলনায় র‌্যাব-৬ কার্যালার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নাজমুল ইসলাম।
র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে র‌্যাব-৬ সিপিসি স্পেশাল কোম্পানির একটি দল নগরীর বসুপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিার মোতালেব সিকদারকে গুলি করা সন্ত্রাসী ডি কে শামীমকে (৩২) গ্রেফতার করে। তিনি সোনাডাঙ্গা থানার গোবরচাকা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শামীমের সহযোগী মাহাদিনকে (২১) সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মাহাদিন একই গ্রামের মৃত শেখ ইব্রাহিমের ছেলে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া বাকী আর দুইজন হলেন তন্বী ও আরিফ।
র‌্যাবের তথ্যমতে, ডি কে শামীম নিজ হাতে মোতালেব সিকদারের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালান। যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে সেখানে নিয়মিত মাদক কেনাবেচা ও সেবন হতো। ঘটনার সময় সেখানে তন্বী নামের এক নারীও উপস্থিত ছিলেন। মোতালেব সিকদার চাহিদা মতো মাদক সরবরাহ করতে না পারা এবং মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিার বিরোধ থেকেই এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে র‌্যাব।
র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতার ডি কে শামীমের বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় মাদক, দস্যুতা, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ মোট সাতটি মামলা রারছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সরাসরি মোতালেব সিকদারকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন। গুলি চালানোর সময় মাহাদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানায় র‌্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হারছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফদারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রারছে বলে জানিারছে র‌্যাব-৬।
উলে­খ্য, গত ২২ ডিসেম্বর নগরীর ১০৯ মজিদ সরণীর আল আকসা মসজিদ গলির ‘মুক্তা হাউজ’ নামক বাসার নিচতলায় অবস্থানকালে অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন সন্ত্রাসী মোতালেব সিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা আক্তার বাদী হার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৬ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দাারর করেন। এর আগে এ ঘটনায় তন্বী নামের এক নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।