খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

নগরীতে দিনে ভারী যানবাহনসহ হাইওয়েতে নিয়ন্ত্রণহীন মাহিন্দ্রা, সিএনজি ও থ্রি হুইলার চলাচল

এন আই রকি |
১২:৫৪ এ.এম | ১১ অক্টোবর ২০২১

নগরীতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভারী যানবাহন চলাচলে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। শহর যানজট মুক্ত রাখতে এবং জনসাধারনের চলাচলের সুবিধা বাড়াতে মেট্রোপলিটন শহরে প্রচলিত এই নিয়ম। কিন্তু ভিন্ন চিত্র নগরীর। দিনের বেলায় ভারী যানবাহন দেদারছে চলাচল করছে ট্রাফিক পুলিশের সামনে। কিন্তু তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে কুরিয়ার সার্ভিস, খুলনা-ঢাকার রুটের একাধিক দূরপাল­ার যাত্রীবাহী বাস নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিনের বেলায় যাত্রী ওঠায়। এতে করে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে, নগরীতে মাহিন্দ্রা, সিএনজি ও থ্রি হুইলার চলাচল করলেও সেটা নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চলে। নগরীর দৌলতপুর ট্রাফিক মোড়ের ৪০ ফুটের রাস্তার প্রায় ২০ ফুটই দখল করে থাকে এসব তিন চাকার গাড়ি। নগরীর এই পয়েন্টটিতে যানজট সব সময় লেগেই থাকে। তবু রাস্তার ওপর থেকে তাদের সরাতে নিরব ভূমিকা প্রশাসনের। এছাড়াও অদক্ষ ও অপেশাদার চালকের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পরিবহন চালানো হচ্ছে। যার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির কাগজপত্র চেক করলেও নিয়মিত। কিন্তু চালকের বৈধতা আছে কি-না এই বিষয়ে তারা তেমন গুরুত্ব দেয় না।

অপরদিকে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি গুলোর দৌরাত্ম বেড়েছে। বিশেষ করে ইজিবাইক, সিএনজি ও মাহিন্দ্রা দাপিয়ে চলছে। হাইওয়েতে এসব অবৈধ বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞ থাকলে সেটা মানা হচ্ছেনা। নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে গাড়ি চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক সপ্তাহে খুলনার রূপসা বাইপাস সড়ক ও খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে ইজিবাইকের সাথে সংঘর্ষে ৫ জন মারা গেছেন। তবু তাদের দৌরাত্ম্য থামছে না।

জানা যায়, ভারী যানবাহন, দূরপাল­ার যাত্রীবাহী পরিবহন, তিন চাকা গাড়ি চলাচলের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন নেতারা। যারা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেই এই অরাজকতা করে আসছে। আর্থিক সুবিধাবা অন্য কোন বিশেষ সুবিধার বিনিময়েই দিনের পর দিন এ সকল অনিয়ম হলেও প্রশাসন কঠোর হচ্ছে না। যার ফলে চোখের সামনে অরাজকতা ও অনিয়ম হলে নিরব ভ‚মিকায় রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

এদিকে, বিআরটিএ’র সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তারা কেএমপি এবং জেলা ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপে এগুলো বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা টিআই মসিউর রহমান জানান, আমরা মহাসড়কে তিন চাকার দৌরাত্ম নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত গাড়ি আটক করছি। আমার কোন পুলিশ অবৈধ সুবিধা নেন না বলে দাবি তার। তবে গাড়ি আটকের পর বিভিন্ন মহলের তদবির আসে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

কেএমপি'র ট্রাফিক বিভাগের ডিসি তাজুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টায় নগরীতে ভারী যানবাহন প্রবেশ এবং মাহিন্দ্রা চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স চালুর বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এর বাইরে তিনি কিছু বলেননি।