খুলনা | সোমবার | ২১ জুলাই ২০২৫ | ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ফেসবুকে পরিচয় মোবাইলে প্রেম অতঃপর...

ওয়াইসি রিসোর্ট কর্ণারে তরুণী ধর্ষণ, ধর্ষক জেলহাজতে প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৪:৩০ পি.এম | ২০ জুন ২০২১

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গোপালখালী ওয়াইসি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্ণারে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সবুজ মন্ডল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষক সবুজকে আজ রবিবার (২০ জুন) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর দুপুরে ধর্ষণের এঘটনা ঘটেছিল।

ধর্ষক সবুজ মন্ডল (২৯) বটিয়াঘাটার  হোগলাবুনিয়া গ্রামের প্রভাস মন্ডলের পুত্র।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার ধলাই গ্রামের এক তরুণীর সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে বটিয়াঘাটা উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের প্রভাষ মন্ডলের পুত্র সবুজ মন্ডলের পরিচয় হয়। ফেসবুকে আলাপ-পরিচয়ের একপর্যায়ে মোবাইল নম্বর নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর সবুজ মন্ডল মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওয়াইসি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্ণারের একটি কক্ষ ভাড়া করে; সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢুকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অবস্থান করে। সেখানে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সবুজ মন্ডল। এ কাজে রিসোর্ট সেন্টারের দায়িত্বরত ম্যানেজার সহযোগিতা করে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর তাকে বিয়ে করেছে বলে সবুজ ওই মেয়েকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। আজ রবিবার মেয়েটি বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করে (যার নং-১৪)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার এস আই মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামী সবুজকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আদালতের মাধ্যমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রেরণ করেছি। তদন্ত চলছে।

তৎকালীন ওয়াইসি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্ণারের ম্যানেজার সুকুমার মন্ডল বলেন, অনেকদিন আগের উদ্বৃতি দিচ্ছেন, এটা তো স্মরণ থাকার কথা নয়। এধরণের কোন ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে পড়ে না।

 

‘সি পাল রিসোর্ট’র তত্তাবধায়ক মোঃ মশিউর রহমান বললেন, “রিসোর্টটি কেনার পরে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকদিন রিসোর্টটি বন্ধ। কাউকে তো প্রবেশই করতে দিচ্ছি না রিসোর্টে। যদি ওইধরণের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা আমাদের ক্রয়ের পূর্বের ঘটনা হতে পারে।”

সিপাল রিসোর্টের বক্তব্য : প্রতিবেদনটি সময়েরখবর অনলাইন ভার্সনে প্রকাশের পর মুহুর্তেই নজরে আসে "সি পাল রিসোর্ট" কর্তৃপক্ষের। প্রতিবেদনের আংশিক বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তারা। প্রায় এক বছর পুর্বে "ওয়াইসি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্ণার" থাকাকালে উপরোক্ত ঘটনাটিতে আজ (২০ জুন) মামলা হয়েছে। যে দায় কোনভাবেই সম্প্রতি ক্রয়কৃত "সি পাল রিসোর্ট"র উপর বর্তায় না। রিসোর্টটি ক্রয়ের পর নতুন আঙ্গিকে চালু করতে সম্পুর্ণ ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তাছাড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে রিসোর্টটি সম্পুর্ণ বন্ধ রয়েছে, ক্রয়ের পর থেকেই। "সি পাল রিসোর্ট" টি সম্পুর্ণ রূপে চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিনোদন স্পট হিসেবে পরিগণিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রতিবেদনটিতে "সিপাল রিসোর্ট" শব্দটি ব্যবহার করায় সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : স্থানীয় প্রতিনিধি, পুলিশের বক্তব্য ও মামলার এজাহারের উপরভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল। তবুও অসাধারণতাবশতঃ 'ওয়াইসি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্ণার'র সাথে "সিপাল রিসোর্ট" শব্দটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটি আমাদের দৃষ্টিতে আসার সাথে সাথেই মূল প্রতিবেদনটি সরিয়ে সেখানে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। যেখানে "সি পাল রিসোর্ট" শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। তবুও আমাদের ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় সকল উন্নয়নের সংবাদ সারথি "সময়ের খবর"। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র খুলনাতে "সি পাল রিপোর্ট"র মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের এধরণের বিনিয়োগকে আমরা সবসময় আনন্দচিত্তে উৎসাহিত করি। 'সিপাল রিসোর্ট'র ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় মঙ্গল কামনা করছি।