খুলনা | শনিবার | ১২ জুলাই ২০২৫ | ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

বিদ্রোহী গ্র“পগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে মিয়ানমারের ৩০ সেনা নিহত

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৪ এ.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২১


মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের সংঘাত বাড়ছেই। দেশটির সাগাইং অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ৩০ সেনাসদস্যকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এএনআই ও রেডিও ফ্রি এশিয়া।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গ্র“প পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, মান্দালাই শহরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ইরাবতী নদীর তীরে অবস্থিত সাগাইং অঞ্চলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করার পর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ৩০ জন বার্মিজ সেনা নিহত হয়েছেন।
পিডিএফের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সোমবার সকালে হওয়া এই সংঘর্ষের সময় পেল শহরের বাইরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কনভয় ল্যান্ডমাইনের কবলে পড়ে। এ সময় একজন কমান্ডারসহ সরকারি বাহিনীর ৩০ সেনা নিহত হন।’
তিনি আরও জানান, ‘রবিবার থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওই কনভয়ের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। কারণ সরকারি বাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার (অভিযান চালাতে) এদিকে আসার কথা বলেছিলেন।’
চলতি বছরের ফেব্র“য়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিতিশীলতা চলছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে তীব্র গণ-আন্দোলন শুরু হয় এবং সামরিক ক্ষমতার জোরেই বার্মিজ সেনাবাহিনী তা দমনের চেষ্টা করে।
পর্যবেক্ষক সংস্থা এ্যাসিস্ট্যান্স এ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)-র তথ্য অনুযায়ী, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকারের হাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৬৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৭ হাজার ২০০-র বেশি মানুষকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গ্র“পগুলোর সংঘর্ষও সা¤প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এএপিপি’র তথ্য অনুযায়ী, কেবল সেপ্টেম্বর মাসেই উভয়পক্ষের মধ্যে ১৩২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
চলতি বছরের ১ ফেব্র“য়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। রক্তপাতহীন এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং। অং সান সুচি ও তার দল এনএলডির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বর্তমানে গৃহবন্দি বা কারাবন্দি অবস্থায় আছেন।