খুলনা | শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বিতর্কিত পেনাল্টিতে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০১:০৫ এ.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২১


শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে শুরু, ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের পর স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে হার। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে খেলার সমীকরণ কঠিন হয়ে ওঠে জামাল ভূঁইয়াদের জন্য। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিততেই হতো, দুর্দান্ত জয়ের কাছাকাছি ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ‘বিতর্কিত’ এক পেনাল্টিতে হয়েছে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরের মিনিটে অঞ্জন বিস্তা স্পটকিকে গোল করলে ড্রয়ের ফল তুলে নেয় নেপাল। ফাইনালে যেতে নেপালিদের ড্র হলেই চলত।
পেনাল্টির সিদ্ধান্তটি নিয়ে বিতর্ক হবে নিশ্চিত। নিজ বক্সে নেপালের একজনকে পুশ করেছিলেন সাদ। সেটি স্পটকিকের বাঁশি বাজানোর মতো কোনো ঘটনা ছিল না বলেই ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর মাঠেই রেফারিকে ঘিরে ধরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান জামাল-তপুরা। এরপর রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতেই সব শেষ। ১-১ গোলে ড্র হয়ে গেল বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচটি। ফলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় হয়ে গেছে অস্কার ব্র“জনের দলের। নেপাল উঠে গেছে ফাইনালে।
ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলেও বেশ কয়েকটি উলে­খযোগ্য শট নিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ শটের মধ্যে ৪টিই ছিল লক্ষে। অন্যদিকে নেপাল ৯ শট নিলেও লক্ষে রাখতে পেরেছিল মাত্র তিনটি। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। লিগপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে গোলটি করেন সাত নম্বর জার্সিধারী সুমন রেজা। ডি বক্সের বাঁ দিক থেকে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে চলে আসে সুমন রেজার সামনে। খালি জায়গায় থাকা ফরোয়ার্ড সুমন নিখুঁত হেডারে জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে ভুল করেননি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। 
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলো অস্কার ব্র“জনের শিষ্যরা। ৫৪ মিনিটে সুমন রেজা একা পেয়ে গিয়েছিলেন নেপালের গোলরক্ষককে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষকের সোজাই বল মেরে দেন এই ফরোয়ার্ড। ৬৪ মিনিটে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের হেড পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৭১ মিনিটে সুমন রেজার বাঁ পায়ের দূরপাল­ার মাটি কামড়ানো শট একটুর জন্য জাল পায়নি। ৭৯ মিনিটে ঘটে দুর্ঘটনা। নেপালের একটি আক্রমণ ঠেকাতে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বক্স ছেড়ে অনেকটা সামনে চলে আসেন। বল তার হাতে লেগে গেলে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এই জিকোই ম্যাচে বেশ কয়েকবার বাঁচিয়েছেন দলকে। দশজনের দলে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ এরপরই খেই হারিয়ে ফেলে। ৮৬ মিনিটে নেপালের অঞ্জন বিসতাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন সাদউদ্দিন। পেনাল্টি পায় নেপাল। ডান পায়ের শটে অঞ্জনই পরাস্ত করেন বদলি গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে। ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ২ জয় আর ১ ড্রতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নেপাল। ৪ ম্যাচে এক জয়, ২ ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে থেকে শেষ করেছে বাংলাদেশ। অথচ এই একটি ম্যাচ জিততে পারলে বাংলাদেশেরও সুযোগ ছিল গ্র“পের শীর্ষে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করার।