খুলনা | রবিবার | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

পুলিশী বিচক্ষণতায় ষড়যন্ত্রকারীরাই কারাগারে

যৌতুক মামলা করায় মাদকের আসামি হতে যাচ্ছিলেন এক গৃহবধূ!

নিজস্ব প্রতিবেদক |
১২:৫৭ এ.এম | ১৫ জানুয়ারী ২০২২


স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করায় মাদক মামলার আসামী হতে গিয়ে পুলিশী বিচক্ষণতায় রক্ষা পেলেন এক গৃহবধূ। গতকাল শুক্রবার নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন নবীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আট পিস ইয়াবা উদ্ধারের পাশাপাশি পরে ষড়যন্ত্রকারীদের কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এখনও আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান গৃহবধূ তানিয়া বেগম।
তানিয়া জানান, বিগত ২০১০ সালে মোঃ সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা দু’জনে সংসার করতে থাকেন। তাদের ঔরসে একটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় তানিয়াকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকেন সাদ্দাম। এক পর্যায়ে তাকে জমি কেনার জন্য বেশকিছু টাকা দিলে তা দিয়ে তিনি খুলনার শহরতলীতে জমিও রাখেন। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় স্বামী সাদ্দামের বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে মামলা দায়ের করেন তানিয়া। ওই মামলার পর সাদ্দামও একটি তালাকনামা পাঠান তানিয়ার কাছে। যদিও তিনি সেটি রিসিভ না করায় ফেরত চলে যায়। 
এদিকে, যৌতুক মামলা করার জের ধরে তানিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হয় সাদ্দামের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় তানিয়া লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। সবশেষ গতকাল শুক্রবার সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশকে কে বা কারা খবর দেয় যে, তানিয়ার ঘরে ইয়াবা রয়েছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে সোর্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আট পিস ইয়াবা উদ্ধার করলেও বিষয়টি রহস্যঘেরা বলে তাদের কাছে প্রতীয়মান হয়। এজন্য পরে সোর্সসহ ওই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত কয়েকজনকে পুলিশ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এস আই গোপীনাথ জানান, যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাদের কাছে যারা খবর দিয়েছিল তারাই তানিয়াকে ফাঁসাতে এমন ঘটনা সাজিয়েছে বলেও তিনি উলে­খ করেন। তিনি বলেন এ ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।