খুলনা | মঙ্গলবার | ১২ নভেম্বর ২০২৪ | ২৭ কার্তিক ১৪৩১

চলে গেলেন জামালপুরের দুই বীর প্রতীক সদরুজ্জামান হেলাল ও মতিউর রহমান

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৫ এ.এম | ২৩ মে ২০২২


না ফেরার দেশে চলে গেলেন জামালপুরের দুই বীর প্রতীক মতিউর রহমান ও  সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল। রবিবার এ দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল­াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...আমরা তো আল­াহর এবং আমরা আল­াহর কাছেই ফিরে যাবো)। 
রবিবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জামালপুরের কৃতী সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীর প্রতীক (ইন্নালিল­াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...আমরা তো আল­াহর এবং আমরা আল­াহর কাছেই ফিরে যাবো)।  
তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৭২) বছর। স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
তিনি ১৯৫০ সালের ৩০ জানুয়ারি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ বদরুজ্জামান ও সৈয়দা খোদেজা জামান দম্পতির সন্তান। তিনি দুরমুঠ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের জামালপুর মহকুমা শাখার জ্যেষ্ঠ সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জের কামালপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মোট ১৮ বার পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি ১৪ বার অংশগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল হেলাল। এই নামানুসারে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘হেলাল কোম্পানি’। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য সেখান থেকে মোট সাত জন খেতাব পেয়েছিলেন।
অপর দিকে একই জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের বীর প্রতীক মতিউর রহমান (৭৫) মারা গেছেন (ইন্নালিল­াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...আমরা তো আল­াহর এবং আমরা আল­াহর কাছেই ফিরে যাবো)। রবিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে ধানুয়া কামালপুরসহ পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ছেলে গোলাম মোস্তফা মিস্টার জানান, তার বাবা ধানুয়া কামালপুর ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধের সময় মারাত্মকভাবে আহত হন। বীরত্বের কারণে তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলার চার জন বীর প্রতীকের মধ্যে তিনি একজন।
যুদ্ধাহত এই বীর মুক্তিযোদ্ধার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সোমবার (২৩ মে) সকাল ৯টায় জানাজা শেষে ধানুয়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।