খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দৈনিক শনাক্তে ঢাকাকে ছাড়াল খুলনা স্থানীয় প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে

|
১২:০৭ এ.এম | ১৩ জুন ২০২১

দেশে সামগ্রিকভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ঢাকার বাইরে সংক্রমণের নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলো। ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেই তুলনামূলকভাবে বেশি বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যে দৈনিক শনাক্তে ঢাকাকে ছাড়িয়েছে খুলনা, যা উদ্বেগজনক। এসব জেলায় করোনা পরীক্ষার যে ব্যবস্থা রয়েছে তাও পর্যাপ্ত নয়। আবার সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়, অসচেতনতা, করোনায় বিশ্বাস না করাসহ কয়েকটি কারণও উঠে এসেছে মানুষের পরীক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী না হওয়ার নেপথ্যে।
দেশের মধ্যে বর্তমানে উচ্চ সংক্রমণে থাকা রাজশাহীতে সরকারের দেওয়া করোনা বিধি-নিষেধ কোন কাজে আসছে না। আবার খুলনায় কোভিড-১৯ চিকিৎসার একমাত্র সরকারি জায়গা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যার অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রোগী ভর্তি। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সাতক্ষীরায় লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। মৌলভীবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। অবশ্যই কঠোর হওয়া খুবই প্রয়োজন। কঠোর না হলে এই ভয়াবহতা কমানো যাবে না। বিশেষ করে ভারতে সংক্রমণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার সময়ই বিশেষজ্ঞরা সীমান্ত বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রথম দিকে সরকার বিষয়টি তেমন আমলে নেয়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু নাগরিকের করোনা ধরা পড়ার পরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে শেষ পর্যন্ত বিশেষ নজর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কোথাও কোথাও কঠোর বিধি-নিষেধের সঙ্গে চলছে লকডাউন। কোথাও আবার লকডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের উদাসীনতায় ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অগ্রাধিকার দিতে হবে স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং করোনার পর্যাপ্ত টিকার ওপর। সরকারের উচিত এদিকে দৃষ্টি দেওয়া এবং সংক্রমণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। আশা করি, আমাদের মাঠপর্যায়ের প্রশাসন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় দপ্তরগুলোর তুলনায় দক্ষতার পরিচয় দেবে। এখনই প্রতি উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সক্ষম ও সুদক্ষ করে তুলতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।