খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

২০২৩ সালে টানা ৩ দিন ছুটি মিলতে পারে কবে কবে

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৫ পি.এম | ০৪ জানুয়ারী ২০২৩


ব্যস্ততা যেন দেয় না অবসর। পড়াশোনা, অফিস আর কাজের চাপে ছুটি আর মেলে। ব্যস্ত জীবনে কোনোভাবে যদি দুই-তিন দিনের ছুটি মেলানো যায় তবে তা হয় পরম প্রাপ্তি। কর্মজীবী মানুষরা তাই বছরের শুরুতেই চোখ বোলান ক্যালেন্ডারের পাতায়। হিসেবে মেলান বছরের কোন কোন সময়ে অন্তত দুই বা তিনদিনের ছুটি মেলানো যাবে।

পঞ্জিকার ছুটি অনুযায়ী নিজেদের বর্ষ পরিকল্পনা সাজান অনেকে। বিয়ের অনুষ্ঠান, পারিবারিক আয়োজন, আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি বেড়ানো কিংবা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য বেছে নেন বাড়তি ছুটি থাকা দিনগুলোকে। আপনিও কি লম্বা ছুটির অপেক্ষায় আছেন? তবে দেখে নিন ২০২৩ সালের ছুটির দিনগুলো-

২৪-২৬ মার্চ: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ। এবার এই দিনটি পড়েছে রোববার। আগের দুদিন শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মোট ছুটি হয়ে যাচ্ছে ৩ দিন।

২১-২৩ এপ্রিল: প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী ২২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার কথা। সরকারি ছুটির দিন হিসেবে এদিন শনিবার। ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। মোট তিন দিনের ছুটি। তবে চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে এই ছুটির দিনে পরিবর্তন আসতে পারে।

৪-৬ মে: ৪ মে বুদ্ধপূর্ণিমা পড়েছে বৃহস্পতিবার। পরবর্তী দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ভ্রমণের জন্য এই তিনদিনকে কাজে লাগাতে পারেন।  

২৮-৩০ জুন: ২৯ জুন ঈদুল আজহা পড়েছে বৃহস্পতিবার। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদের আগের ও পরের দিনসহ ঈদুল আজহার মোট ছুটি ৩ দিন। এই ছুটিও চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করছে।

২৮-৩০ সেপ্টেম্বর: ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। তাহলে মোট ছুটি দাঁড়াচ্ছে ৩ দিন। তবে আরবি বর্ষের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে ছুটির দিনে পরিবর্তন আসতে পারে।

ধর্মীয় ঐচ্ছিক ছুটি

সরকারি ছুটির নির্দেশনা মোতাবেক, একজন কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি কাটাতে পারেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

২৬-২৮ জানুয়ারি: ২৬ জানুয়ারি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। এদিন পড়েছে বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি।

৩-৫ ফেব্রুয়ারি: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মাঘী পূর্ণিমা ৫ ফেব্রুয়ারি, দিনের হিসেবে যা রোববার। এর আগের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে মোট ছুটি পাওয়া যেতে পারে তিন দিন। তবে এই উৎসবটি চান্দ্র তিথির ওপর নির্ভরশীল বলে ছুটিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি: ১৯ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে ছুটি। এই দিনটিও রোববার পড়েছে। আগের দুই দিনও (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে মোট ছুটি হবে ৩ দিন। চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে ছুটিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

১৭-১৯ মার্চ: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব দিবসের ছুটি ১৯ মার্চ, রোববার। আগের দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি।

৬-৯ এপ্রিল (৪ দিন): ৬ এপ্রিল। পুণ্য বৃহস্পতিবারের ছুটি। পরের দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সেই সঙ্গে ৯ এপ্রিল আছে ইস্টার সানডের ছুটি। তাই, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা মোট ছুটি পাবেন ৪ দিন।

১৩-১৫ এপ্রিল: চৈত্রসংক্রান্তির ছুটি ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। পরের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি।

২৮-৩০ সেপ্টেম্বর: বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পবিত্র মধু পূর্ণিমা হতে পারে ২৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার। তাই মোট ৩ দিনের ছুটি মিলতে পারে। তবে এটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।

২০-২৩ অক্টোবর (৪ দিন): বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ছুটি ২২ ও ২৩ অক্টোবর, রবি ও সোমবার। আগের দুই দিন (শুক্র-শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে মোট ছুটি দাঁড়াচ্ছে ৪ দিন।

১০-১২ নভেম্বর: শ্যামা পূজার ছুটি ১২ নভেম্বর, রোববার। আগের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি।

২২-২৬ ডিসেম্বর (৫ দিন): খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিনের আগে-পরের দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি। বড়দিনের আগের দিন ২৪ ডিসেম্বর রোববার। তার আগের দুই দিন (শুক্র-শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। তাই ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার) টানা ৫ দিনের ছুটি পেতে পারেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা।