খুলনা | শনিবার | ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

চুরি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে

যশোরে দু’টি চোরাই ইজিবাইক ও প্রাইভেটকার উদ্ধার : আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
১২:২৭ এ.এম | ১২ মার্চ ২০২৩


ইজিবাইক চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আরো দুইটি চোরাই ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেটকারসহ ইজিবাইক চোরচক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। এই ঘটনায় চোর সিন্ডিকেটের মোট ৮ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলার কাজীপুর ক্লাব মোড়ের মনির হোসেন (৩৫), তুলাগোলদারপাড়ার আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার জনি হোসেন (২৪), রেজাউল গাজী (৪৫) এবং মুড়লী খাঁপাড়ার শাহ পরান ওরফে পাখি (২৫)। এছাড়া পলাতক আসামিরা হলো, শহরতলীর রামনগর ধোপাপাড়ার শাখের আলীর জামাই বাবলু হোসেন (৩৫), ছেলে ইউসুফ (২০), ইমান আলীর ছেলে রায়হান (২৫) এবং ধোপাপাড়ার সোহাগ (৩৮)।
ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বেজপাড়ার আব্দুল­াহ আল মামুনের একটি ইজিবাইক গত ৭ মার্চ ধর্মতলা এলাকা থেকে চুরির ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মুড়লীর মোড় থেকে আসামি মুনির ও তার সহযোগী পাখিকে আটক করে তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে চুরি হওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজারহাট রেলক্রসিং এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি জনি ও তার সহযোগী রেজাউল গাজীকে একটি চোরাই ইজিবাইকসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগী বাবুল হোসেন, ইউসুফ, রায়হান ও সোহাগ একটি প্রাইভেটকার (ঢাক মেট্টো-গ-১২-৯৮০০) ফেলে পালিয়ে যায়। প্রাইভেটকারটি জব্দ করে আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা আন্তঃজেলা ইজিবাইক ও ছিনতাইচক্রের সদস্য। তারা চোরাই প্রাইভেটকার ব্যবহার করে যাত্রী সেজে বা ভাড়ায় নিয়ে নির্জন স্থানে চালককে নিয়ে মারপিটে ইজিবাইক ছিনতাই করে থাকে। 
তিনি আরো বলেন, মুনির হোসেন ভাড়ায় ইজিবাইক চালায়। গত ৭ মার্চ তার বাইকের চার্জ শেষ হয়ে গেলে সে জনি ও রেজাউলকে আরেকটি ইজিবাইক নিয়ে ধর্মতলায় যেতে বলে। যাতে ইজিবাইকের পেছনের রশি দিয়ে বেঁধে অন্যটি নিয়ে যাওয়া যায়। জনি ও রেজাউল সেখানে গিয়ে অন্য সহযোগীদের সাহায্যে ইজিবাইকটি নিয়ে চলে যায়। পরে ওই ইজিবাইক শাহ পরান পাখির ঘরে বসে খুলে ফেলা হয়। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে। তারা স্বীকার করেছে, আশ পাশ থেকে ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে এসে তারা খুলে ফেলে। এরপর পরিবর্তন করে তা অন্য মানুষের কাছে বিক্রি করে। পলাতক ৪ জনও এই চক্রের সাথে আছে। এছাড়াও আরো ৪/৫ জন আছে এই সিন্ডিকেটের সাথে। তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে।