খুলনা | মঙ্গলবার | ১৩ মে ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

আহলান ও সাহলান হে মাহে রমজান

রোজা হওয়ার কারণ সমূহ

মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে |
০১:২৫ এ.এম | ২৮ মার্চ ২০২৩


আজ ৫ রমজান। পুণ্যস্নাত মাহে রমজানের রহমতের দশকের আজ পঞ্চম দিন। রমজান মাস আল­াহর কাছে আমল কবুলের মাস। কিন্তু শর্ত হলো আমলটি অবশ্যই ত্র“টিমুক্ত হতে হবে। হাদিসে আছে, অনেক রোজাদার এমন আছে যারা রোজার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পায় না, আর এমন রাত্রি জাগরণকারী আছে যারা রাত্রি জাগরণের কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পায় না (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, হাকিম)। কিছু কাজের কারণে রোজা ভেঙে যায়, আবার কিছু কাজ রোজাকে  ত্র“টিযুক্ত করে। এগুলো জানা খুবই জরুরি। রোজা ভাঙার কারণের মধ্যে রয়েছে: বিড়ি, সিগারেট বা হুক্কা সেবন করলে; আগরবাতি প্রভৃতির ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা হলকে পৌঁছালে; ভুলে পানাহার করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছু পানাহার করলে; রাত আছে মনে করে সুবহে সাদেকের পর কোন কিছু পানাহার করলে; ইফতারীর সময় হয়নি অথচ ইফতারীর সময় হয়েছে মনে করে ইফতারী করলে; কানে বা নাকে ওষুধ নিলে; পেশাব বা পায়খানার রাস্তায় ওষুধ, ঢুস বা অন্য কিছু  প্রবেশ করালে; নস্যি গ্রহণ করলে বা কানে তেল ঢাললে; ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে বা অল্প বমি আসার পর তা গিলে  ফেললে; কুলি করার সময় অনিচ্ছাবশতঃ কন্ঠনালীতে পানি চলে গেলে; মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে গেলে এবং  এ অবস্থায় সুবহে সাদেক হয়ে গেলে; দাঁতে কোন খাদ্য-টুকরা আটকে ছিল এবং সুবহে সাদেকের পর তা ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে; দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে তা যদি থুথুর চেয়ে পরিমাণে বেশী হয় এবং কন্ঠনালীর ভিতরে চলে যায়; স্ত্রী বা অন্য কোন নারীকে শুধু স্পর্শ প্রভৃতি করার কারণেই বীর্যপাত হলে; দুপুরের পর রোজার নিয়ত করলে। যে সব কারণে রোজা ভাঙে না তবে তা দোষণীয়: বিনা প্রয়োজনে কোন কিছু চিবালে; বিশেষ শরিয়তী কারণ ছাড়া তরকারী ইত্যাদির লবণ চেখে ফেলে দেয়া; টুথপেস্ট, মাজন, কয়লা বা গুল ব্যবহার করা; গোসল ফরজ অবস্থায় সারাদিন অতিবাহিত করা; কোন রোগীর জন্য নিজের রক্ত দেয়া; ঝগড়া-ফ্যাসাদ, গালি-গালাজ করা, গীবত, চোগলখুরী করা, অনর্থক কথা-বার্তা বলা, মিথ্যা বলা; ক্ষুধা বা পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করা; মুখে অধিক থু থু একত্র করে গিলে ফেলা; ঠোটে লিপিস্টিক লাগালে যদি মুখের ভিতর চলে যাবার আশঙ্কা হয়; নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না-এরূপ মনে হওয়া সত্তে¡ও স্ত্রীকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করা। তাই আসুন এ সমস্ত কাজ আমরা পরিহার করি এবং সর্বাত্মক চেষ্টা করি যাতে আমাদের রোজাগুলো সুন্দর হয়। 
(লেখক: আরবী সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস, জামি’য়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলূম, বাগমারা, খুলনা)