না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। রোববার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিনি রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ডা. কামরুল হুদার অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সম্প্রতি অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ৮৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিককে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সে অবস্থায় মারা গেলেন তিনি।

হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. লেলিন চৌধুরী ঢাকা মেইলকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এক নজরে পঙ্কজ ভট্টাচার্য

১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তার শিক্ষাজীবন কেটেছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে ১৯৫৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী, একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ও সংগঠক। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও ১৯৬৬ সালে ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম গঠনের সময়ও তিনি ছিলেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে সম্মিলিত ‘সামাজিক আন্দোলন’ নামে দেশের প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন। সবশেষ ২০১৩ সালে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।