খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিন

|
১২:৫৮ এ.এম | ১৩ মে ২০২৩


চলমান বৈশ্বিক সংকটের ধাক্কায় বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি ও জনজীবন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ধাক্কায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলো দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, মধ্য অঞ্চল ও দক্ষিণ উপকূলের মানুষ। অতীতের তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে এনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে আমাদের। ২মে আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। সেখানে বলা হয়, এ মাসে একাধিক লঘুচাপ এবং সেখান থেকে নিম্নচাপ হতে পারে। আর সেই সঙ্গে একটি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। গভীর নিম্নচাপটি ১২ অথবা ১৩ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে। এ সময়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর লক্ষে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে কৃষি স¤প্রসারণের সব অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছে সরেজমিন উইং। নির্দেশনাগুলো হলো- পাকা ধান, পরিপক্ব আম ও অন্যান্য সংগ্রহ উপযোগি ফসল দ্রুত সংগ্রহে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান। কৃষকদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক তথ্য মাঠে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ। পরামর্শের জন্য সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থাকা। 
ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও দুই সপ্তাহ আগ থেকে যথাসময়ে ও সুনির্দিষ্ট আবহাওয়া পূর্বাভাসের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিশ্বজুড়ে এভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসে জনগণের করণীয় বিষয়গুলো জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। দুর্যোগের সময় কোন এলাকার লোক কোন আশ্রয়ে যাবে, গবাদিপশু কোথায় থাকবে এসব বিষয়ে প্রচার অব্যাহত রাখুন এবং দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি রাখতে হবে।