খুলনা | রবিবার | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

বুবলী নানাজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে: শাকিব খান

খবর বিনোদন |
১১:১৭ এ.এম | ১৪ মে ২০২৩


শাকিব খানের সঙ্গে বুবলীর দাম্পত্যের সমীকরণ ক্রমশ জটিল হচ্ছে। দুজনের বিপরীতমুখী বক্তব্যে কেবল ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। এই যেমন কিছুদিন আগে বুবলীর সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছিলেন শাকিব। এরপর ক্ষোভ মিশ্রিত এক ফেসবুক পোস্টে বুবলী জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এখনও সুসম্পর্ক বজায় আছে। তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি তারা একান্তে সময়ও কাটিয়েছেন।

বুবলীর ওই দাবিকে অসত্য বলে দাবি করেছেন শাকিব। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না। সে যখন বলছে আমাদের মধ্যে এখনও সম্পর্ক রয়েছে তাহলে সে-ই প্রমাণ দিক। কারণ সে তো একজন শিক্ষিত মেয়ে। সে এয়ারহোস্টেস, টিভিতে নিউজ প্রেজেন্টার ছিল, তাই তার মতো একজন শিক্ষিত মেয়ের কাছে তো কোনো মিথ্যা বলার মতো বোকামি কেউ আশা করবে না।’

শাকিব জানান, তিনি তাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছিলেন। ফলে তাকে ব্ল্যাকমেল করে নিজের স্বার্থ আদায় করেছেন বুবলী। তার কথায়, ‘দেখুন, সে আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে সম্পর্ক, সন্তান, অর্থবিত্ত, নাম— সবই করেছে। আমিও তাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু শেহজাদকে জন্ম দেওয়ার পর আমেরিকা থেকে দেশে এসে সে নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ল। নানাজনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলল। যা মিডিয়াসহ সবাই জানে। একইসঙ্গে সাড়ে তিন কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক হলো, হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া কীভাবে সম্ভব! কেউ যদি বিনা কারণে বিশ্বাসভঙ্গ করে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে কনটিনিউ করা যায় আপনারাই বলুন। আমি আসলে সরল মনে অনেককেই বিশ্বাস করেছি। কিন্তু সবাই আমার সরলতাকে দুর্বলতা ভেবে ধোঁকা দিয়েছে। অকৃজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। আমি এখন আর কারও সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে চাই না। আর কোনো মানসিক চাপ সহ্য করতে চাই না। শুধু দুই সন্তান জয় ও বীরকে নিয়ে বাকি জীবনটা সাধারণ মানুষের মতো পরম শান্তিতে কাটাতে চাই।’

ফেসবুক স্ট্যাটাসে বুবলী দাবি করেন, গেল ঈদে তিনি শাকিবের বাড়িতে গেছেন। নিজের হাতে খাইয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া একান্তে সময়ও কাটিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এটিও তার একটি পাতা ফাঁদ ছিল। তার সঙ্গে সম্পর্কের পর এক দিনের জন্যও সে আমাদের বাসায় থাকেনি। আমার বাসার কারও সঙ্গে তার কথাও হয়নি। আগে পরিচয়ও ছিল না। সে জোর করে আমার বাসায় এসে সিন-ক্রিয়েটের চেষ্টা করে। শেহজাদের জন্মদিনেও সে জোর করে আমার বাসায় এসেছে। শেহজাদকে তার ন্যানিই আমার বাসায় নিয়ে আসে। অথচ ঈদের দিনও পরিকল্পিতভাবে বুবলী আমার বাসায় এসেছে। যেখানে আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই, সেখানে আমার বাসায় সে আসবে কেন? ঈদের দিন বাসায় কেউ এলে তাকে তো আর বের করে দেওয়া যায় না। অথচ এর আগে একবার তাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। যাক, ঈদের দিন সে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে বাসার সবাই বসে খেয়েছি। তারপর শেহজাদকে নিয়ে গাড়িতে করে যখন বেড়াতে বের হচ্ছিলাম তখন বুবলীও গাড়িতে উঠে পড়ে এবং পেছনের সিটে বসে থাকে। তার রান্না করা বা তার হাতে কোনো খাবারই আমি খাইনি। আসলে সেদিন ঈদের সুযোগ নিয়ে সে আমার বাসায় এসেছিল। মিথ্যা বলে আবার আমাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এবং পরে সে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে তাই করার চেষ্টা করেছে।’

এদিকে সবাই মনে করেন, শাকিবের হাত ধরেই ঢালিউডে পা রাখেন বুবলী। এটা নিয়েও মুখ খোলেন ঢালিউড কিং। তিনি বলেন, “এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। আমি তাকে চিনতামও না, সে তার মেকআপ আর্টিস্টকে দিয়ে আমার মেকআপ আর্টিস্টকে বলাত সে আমার সঙ্গে নায়িকা হিসেবে ছবিতে কাজ করতে চায়। আমার মেকাপ আর্টিস্ট আমাকে এসে বলত টিভিতে খবর পরে একটি মেয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে ও আপনার সঙ্গে অভিনয় করতে চায়। আমি এসব কথাকে কখনও পাত্তা দিইনি। এভাবে অনুরোধ করাতে করাতে প্রায় ৫-৬ মাস কেটে গেল। এক দিন এফডিসিতে ‘রাজনীতি’ ছবির শেষ দিনের শুটিং করছিলাম। হঠাৎ বিকালের দিকে আমার মেকআপ আর্টিস্ট এসে বলল, ওই মেয়েটা আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য সকাল থেকে এসে বসে আছে। তখন মেকআপ রুমে অভিনেতা আহমেদ শরীফ, প্রয়াত সাদেক বাচ্চু ও এ ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আমি মেকআপ আর্টিস্টকে বললাম আচ্ছা, তাকে নিয়ে এসো। মেয়েটি এসে আমাকে তার ইচ্ছার কথা জানাল। শুনে বললাম, ভবিষ্যতে সুযোগ হলে দেখব। পরে যখন ‘বসগিরি’ ছবিটি নির্মাণ হতে যাচ্ছিল সেই ছবিতে নির্মাতা একজন নতুন নায়িকা খুঁজছিলেন, তখন আমি তাকে বললাম বুবলীর কথা। নির্মাতাই তখন তাকে এনে কাজ করালেন।”

সবশেষ বুবলীকে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার নাটক বন্ধ করতে বলেন শাকিব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনিও চুপ থাকবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দেন।