খুলনা | শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বেহাল মুজগুন্নী মহাসড়কে সবজি চাষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:০৬ এ.এম | ১৭ অগাস্ট ২০২১

চার লেনের সড়কের এক লেন জুড়ে জন্মেছে লম্বা লম্বা ঘাস। ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে করা হয়েছে ঘরোয়া সবজি চাষ। বাকী তিন লেন জুড়ে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টিতে গর্তগুলো রূপ নিয়েছে ডোবায়। সেখান দিয়ে হেলে-দুলে চলছে যানবাহন। ফলে প্রায়ই ইজিবাইক উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। এমন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে নগরীর মুজগুন্নী মহাসড়ক।
জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে বয়রা বাজার হয়ে নতুন রাস্তা পর্যন্ত সড়কের নাম মুজগুন্নী মহাসড়ক। নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। বিভাগের একমাত্র বিশেষায়িত শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, ৫০০ শয্যার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স, বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তর ও শীর্ষস্থানীয় দু’টি স্কুল-কলেজসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, দু’টি বৃহৎ আবাসিক এলাকা-এসবই এই মুজগুন্নী মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থিত। ফলে প্রতিদিন এ সড়কে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বর্তমানে সড়কে খানা-খন্দে ভরে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বয়রা বাজার থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত। এছাড়া সড়কের একপাশ খুঁড়ে বিদ্যুতের তার বসিয়েছে পিডিবি। সেখানেও কার্পেটিং করা হয়নি। এ অবস্থায় সড়ক দিয়ে রিকশা চলাচল প্রায় বন্ধ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস ও ইজিবাইক।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাই জানান, প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার হয় ২০১২ সালে। এরপর আর সংস্কার হয়নি। ফলে পুরো সড়ক জুড়ে  খানা-খন্দ তৈরি হয়েছে। খানা-খন্দের কারনে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
আরেক বাসিন্দা এনামুল হক জানান, চার লেন সড়কের তিন লেনে খানা-খন্দ। বাকী এক লেন খুঁড়ে বিদ্যুতের তার বসিয়েছে পিডিবি। সেখানে ভরাট করা হলেও কার্পেটিং হয়নি। ফলে সেখান ঘাস ও গাছ-পালা জন্মেছে, কেউ কেউ ঘরোয়া সবজি ঢেড়স ও শাক-পাতা লাগিয়েছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক পোলসহ নানা জিনিসপত্র রেখে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
গাড়ি চালক মোর্তুজা জানান, প্রতিদিন সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া কত যে দুর্ভোগের, তা বলে বোঝানোর নয়। এছাড়া গাড়ি যন্ত্রাংশও নষ্ট হচ্ছে।  দ্রুত সড়ক সংস্কারে অনুরোধ জানাচ্ছি।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী খান বলেন, ড্রেন না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। তবে ইতোমধ্যে ড্রেনের এস্টিমেট প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন ফাইল মেয়রের স্বাক্ষর হলেই দরপত্র আহŸান করা হবে। এই কাজ শেষে সড়ক সংস্কার কাজ হবে।