খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

নগরীর বয়রা এলাকায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:০৫ এ.এম | ১০ জুন ২০২৩


নগরীর ছোট বয়রা এলাকার বাসিন্দা শেখ আসাদুজ্জামানের ছেলে শেখ মোশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২য় স্ত্রীকে সীমাহীন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে মোশেদুজ্জামানের অভিভাবককে কোনো সুরাহা পাননি ভুক্তভোগী শারমিন জাহান বকুল। উল্টো মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিতে পালিয়ে দিনাতিপাত করছেন এ অসহায় নারী। 
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন শারমিন জাহান বকুল। তিনি ১৬নং ওয়ার্ড মহিলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নিরুপায় হয়ে জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বয়রা পূজাখোলায় শ্রমিক লীগের অফিসে শেখ মোশেদুজ্জামান মোর্শেদের সাথে পরিচয় হয় শারমিন জাহান বকুলের। মোবাইল নম্বর আদান প্রদানের মাধ্যমে কথা-বার্তা শুরু হয় তাদের। পরে দুইজনের বাসায় যাতায়াত করতো তারা। একপর্যায়ে শারমিন জাহান বকুলকে বিয়ে করতে পাগল প্রায় শেখ মোশেদুজ্জামান। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকিও দেয়। প্রেমের ছলে স্বামী থাকাবস্থায় শেখ মোশেদুজ্জামান মোর্শেদ তাকে ভোগ করে। গত ১ জানুয়ারি মোশেদুজ্জামানদের বাড়িতে একজন হুজুর ডেকে এনে কালিমা পড়ে তাকে বিয়ে করে। মোশেদুজ্জামানকে বিশ্বাস করে গত ১৭ জানুয়ারি পূজাখোলা শ্রমিক লীগের অফিসে বসে শারমিন জাহান বকুল তার প্রথম স্বামী পুলিশ কনস্টেবল মোঃ হাসানুজ্জামানকে ডিভোর্স দেন। পরে ২৮ জানুয়ারি চার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে ওর বাড়িতে উঠেন বকুল। যা দু’পরিবারের পরিবারের সবাই জানতেন। এ মুহূর্তে সৌদি আরব যাওয়ার প্রশিক্ষণের তারিখ পড়ে বকুলের। ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকাবস্থায় তার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে সে জানতে পারে, মোশেদুজ্জামানের বাড়িতে ওর স্ত্রী-সন্তান আসছে। পরে ছুটিতে এসে বকুলকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে বলেন। সামাজিক চাপে ও বিবেকের তাড়নায় গত ২০ এপ্রিল বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভা সদরে শারমিন জাহান বকুলের বাবার বাড়িতে মুসলিম শরীয়াহ মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এরপর শারমিন জাহান বকুলের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর শারমিন জাহান বকুলের ভাড়া বাসায় ইসলামিয়া কলেজ রোডের ছোট বুড়ির বাড়িতে মাঝে মধ্যে যাতায়াত করতো মোর্শেদ। স্বামী-স্ত্রীর সব সম্পর্কই স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু সে তার সাংসারিক খরচ দিতো না। বরং তার কাছ থেকে চাকরির কথা বলে নগদ চার লাখ টাকা গ্রহণ করে। কিছুদিন না যেতেই ওর প্রধম স্ত্রী আফরোজা আক্তার সীমার কথামতো তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। তবুও সংসার করার মন-মানসিকতায় আমি সব চুপচাপ মেনে নিচ্ছিলাম। 
সর্বশেষ গত ৬ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মোর্শেদুজ্জামান তার প্রথমা স্ত্রী আফরোজা আক্তার সীমা ও তাদের ছেলে মোরসালিনকে নিয়ে তার বাসায় ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। গালাগালি দিতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে মোর্শেদুজ্জামান ও তার প্রথম স্ত্রী সীমা মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। ওরা বিভিন্ন ভাবে জীবনের তরে শেষ করে দেবার হুমকি দিচ্ছে।