খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

জাপা’র প্রবীণ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেনের ইন্তেকাল, শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক |
১২:৫৩ এ.এম | ০২ জুলাই ২০২৩


জাতীয় পার্টির প্রবীণ নেতা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবুল হোসেন (৭৩) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল­াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...আমরা তো আল­াহর এবং আমরা আল­াহর কাছেই ফিরে যাবো)। গত ২৯ জুন  বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে তিনি ভারতে দিলি­তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েক মাস ধরে তিনি দিলি­ ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সর্বশেষ চারদিন আইসিইউ’তে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 
শনিবার হাজীবাড়ি মসজিদে এশার নামাজের পর মরহুম  শেখ আবুল হোসেন-এর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে তার মরদেহ ভারত থেকে খুলনার হাজিবাড়িতে আনা হয়। মরহুম মোঃ আবুল হোসেন খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও নগর জাপার সাধারণ সম্পাদক  প্রয়াত শেখ আবুল কাশেমের বড় ভাই।
এদিকে শেখ আবুল হোসেনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও নগর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা শোকাহতদের পাশে যান। নেতৃবৃন্দ সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং শোকাহতদের ধৈর্য্যধারনের জন্য সান্ত্বনা দেন। পরে নেতৃবৃন্দ জানাজাসহ সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আ’লীগ যুুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, মঈনুল ইসলাম নাসির, আতাউর রহমান শিকদার রাজুসহ এলাকার গণ্যমান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন। 
খুলনা শহরের ঐতিহ্যবাহী হাজী বাড়ির সন্তান হিসেবে তিনি তার পূর্ব পুরুষের স্মৃতি ধরে রেখেছিলেন। তার ভাইপো আসাদুজ্জামান লিটু কেসিসি’র ২৪নং ওয়ার্ডের একাধিকবার নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিশনার ছিলেন। তিনি খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল তার ভাই খুলনা চেম্বারের সভাপতি ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ভাইয়ের স্মৃতি ধরে রাখতে তিনি কৈয়া এলাকায় শেখ আবুল কাশেম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি কেসিসি’র সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার, খুলনা বেবিট্যাক্সি ড্রাইভার ইউনিয়নের সাবেক প্রধান উপদেষ্টাসহ অসংখ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থারও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ, মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েয়ছেন খুলনা নগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠণ ।
আ’লীগ : অনুরূপ শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, নগর আ’লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি : অনুরূপ শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এড. তারিক মাহমুদ তারাসহ সকল নেতৃবন্দ। 
বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী : অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন, শেখ হেমায়েতুল ইসলাম, মাজেদা খাতুন, ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডাঃ আঃ সালাম, জিএম মহিউদ্দিন, এড. কাজি আমিনুল ইসলাম মিঠু, মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মুন্সি আহমেদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, মোহাম্মাদ আলি, এম এ জলিল, মোঃ কামরুল ইসলাম ভুট্টো, কাওসারি জাহান মঞ্জু, মোঃ নাজমুল তারেক তুসার, মোঃ শাকিল আহমেদ রাজা, আব্দুর রাজ্জাক, ক্বারী শরীফ মিজানুর রহমান, শেখ শহিদুল ইসলাম, কবিতা আহমেদ, আরিফ আহমেদ, জিসান রহমান, তাহেরুল আলম, মোঃ শফিকুল ইসলাম অভি, রেজাউল ইসলাম রাজা, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন তোকা, রফিকুল ইসলাম রফিক, আঃ মান্নান, রোকনুজ্জামান বাবলু, আঃ মান্নান মুন্নাফ, মো. জাভেদ আলম, মোঃ জয়নাল আবেদিন, আলাউদ্দিন, মিকাইল হোসেন, শেখ তৈয়বুর রহমান তপু, আবু বক্কার ও মোঃ আজমল হোসেন প্রমুখ।