খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

তাইওয়ান ঘিরে ১০৩ চীনা সামরিক বিমান

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৬ পি.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩


নিজেদের আকাশসীমার চারপাশে চীনের ১০৩টি সামরিক বিমান প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্ব-শাসিত দ্বীপকে 'সামরিক হয়রানি' বন্ধ করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তাইওয়ানের মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, তারা ১০৩টি চীনা সামরিক বিমান দেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে ফাইটার জেট। এছাড়াও চীনা নৌবাহিনীর নয়টি জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০টি চীনা বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল দিয়ে উড়েছিল। এই চ্যানেল দ্বীপটিকে ফিলিপাইন থেকে আলাদা করেছে।

বেইজিং তাইওয়ানকে তার নিজস্ব এলাকা হিসেবে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত বলে দাবি করে। চীন লক্ষ্য অর্জনে তাইওয়ানে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেনি। তাইওয়ানের মন্ত্রণালয় বলছে, চীনের এমন কার্যক্রম প্রণালী এবং আঞ্চলিকভাবে নিরাপত্তার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এই অঞ্চলের সব পক্ষেরই সাধারণ দায়িত্ব।

তাইওয়ান জানিয়েছে, চীনের সামরিক হয়রানি সহজেই উত্তেজনার তীব্র বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার অবনতি ঘটাতে পারে। চীনকে অবিলম্বে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক একতরফা পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগে চীন, তাইওয়ান এবং মঙ্গোলিয়া বিষয়ক সাবেক সিনিয়র ডিরেক্টর টনি হু বলেছেন, যেহেতু চীনা কার্যকলাপগুলো আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল, তাই আন্তর্জাতিক আইনে সেগুলো অবৈধ ছিল না। তবে এর মাধ্যমে তাইওয়ানকে ভয় দেখানো এবং নমনীয় করা উদ্দেশ্য ছিল।

তিনি বলেন, বেইজিং হয়তো তাইওয়ানের কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার আশা করছে, সেটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, তাইওয়ান তাদের সতর্কীকরণ রাডারের উপর নজর রাখছে। চীন যেকোনো ধরনের আক্রমণ শুরু করলেই বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, তাদের নৌবাহিনী ছয়টি চীনা জাহাজ শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার, একটি দ্রুত যুদ্ধ সহায়তা জাহাজ এবং শানডং।

সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, চীনা নৌবাহিনীর কূটকৌশল ছিল বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং পুরো অঞ্চল জুড়ে চাপ বাড়িয়েছে।