খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

দলের সকল ক্রান্তিকালে দুলু দায়িত্ব পালন করতেন নিষ্ঠার সঙ্গে: স্মরণ সভায় বক্তারা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:৪৬ পি.এম | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩


আদর্শের রাজনীতিতে আপসহীন, অত্যন্ত সাহসী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানের অধিকারী নেতা আজিজুল হাসান দুলুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে খুলনা বিএনপির রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। দুলু ছিলেন সেরা সংগঠকদের অন্যতম। ছাত্ররাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে সাংগঠনিক নেতৃত্বের বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা ও আপসহীনতা তাকে রাজনৈতিক প্যারামিটারের এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। সব স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তার ছিল বলিষ্ঠ প্রতিবাদী ভূমিকা। বিশেষ করে এক-এগারোর সময়ে ফখরুদ্দীন, মইনউদ্দীনের অবৈধ মাইনাস রাজনীতির বিরুদ্ধে তার সাহসি ভূমিকা খুলনার রাজনীতির ইতিহাসে একটি আলাদা অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল। সর্বদায় দুই ঠোঁটের মাঝখানে হাসির রেখা ফুটিয়ে মৃদুভাষী আজিজুল হাসান দুলু নেতাকর্মীদের কথাই শুনতেন। সিদ্ধান্তের বেলায় বোঝা যেত, তিনি কত বড় মাপের সংগঠক ছিলেন। তার মেধা ও বিচক্ষণতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাই তাকে একজন সত্যিকারের রাজনৈতিক সংগঠকে পরিণত করেছিল। দুলু কতটা গ্রহনযোগ্য প্রিয় মানুষ ছিলেন যা তার জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতি প্রমান করেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রয়াত বিএনপি নেতা আজিজুল হাসান দুলুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন আজিজুল হাসান দুলু। দলের সব ক্রান্তিকালে দুলু দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। মামলা হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে দুলু থাকতেন সামনের কাতারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। বক্তারা আরো বলেন, দুলুর মতো একজন সাহসী ও তরুণ নেতার মৃত্যুতে জাতীয়তাবাদী শক্তি একজন উদীয়মান নেতৃত্ব হারালো। চলমান ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা এ প্রজন্মের জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন এর পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মো. শফিকুল আলম তুহিন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান,  একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, শেখ সাদি, এনামুল হক স্বজল, কে এম হুমায়ন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), মো. মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, নাসির খান, তারিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মুজিবর রহমান, সরদার আবদুল মালেক, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারিক পান্না, সাঈদ হাসান লাভলু, আহসান হাবীব বাবু, কামরুজ্জামান রনু, বিএনপির মাহবুবউল্লাহ শামীম, মো. আলতাফ হোসেন খান, আসাদুজ্জামান আসাদ, কে. এম মাহাবুবুল আলম, সিরাজুল উসলাম লিটন, মোঃ শহীদ খান, মোস্তফা কামাল, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, জাসাসের আজাদ আমিন, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মেহেদী হাসান মিন্টু, মাহমুদ আলম লোটাস, মহিলা দলের আনজীরা খাতুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রনু, শরিফুল ইসলাম টিপু প্রমূখ। সভা শেষে আজিজুল হাসান দুলুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাও. জাহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল হাসান দুলু দীর্ঘ একমাস চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন।