খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

প্রার্থীদের বর্তমান-অতীত বিশ্লেষণে নেতা-কর্মী ও ভোটাররা

খুলনা-৬ আসনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত এক ডজন

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:০৫ এ.এম | ২০ অক্টোবর ২০২৩


বছরের শেষ প্রান্তে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা ও আগামী বছরের প্রথমে নির্বাচন। এরই মধ্যে সুন্দরবনের কোলঘেঁষা খুলনা-৬ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) উপজেলায় বইছে ভোটের হাওয়া। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো রয়েছে সরকার পতনের আন্দোলনে। তবে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়-ঝাঁপ তুঙ্গে। নির্বাচনী এলাকায় ঘন ঘন ছুটছেন দলের হেভিওয়েট নেতারা। আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক ডজনের বেশি কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আ’লীগ নেতা। এ সকল নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে জনপ্রিয়তায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আঁটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৬ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে দলীয় পর্যায়ে লবিংয়ের পাশাপাশি নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলে গণসংযোগ শুরু করেছেন। দলের সবুজ সংকেত পেতে অব্যাহত চেষ্টা চলছে তাদের।
আসনটিতে বর্তমান সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর পাশাপাশি সরকার দলীয় অন্তত ১ ডজন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়মিত মাঠে গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন জাতীয় দিবস, উৎসব ও দলীয় কর্মসূচিতে নিজেদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও ব্যানার-পোস্টারের মাধ্যমে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়টি জানান দিচ্ছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনের সংসদ সদস্য হন এড. সোহরাব আলী সানা। কিন্তু দলের তৃণমূল থেকে নানা অভিযোগ উঠায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হন তিনি। জেলার এই প্রবীণ নেতা পুনারায় এই আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।  
২০১৪ সালের নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ মোঃ নুরুল হক। 
এদিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ চাইছে প্রার্থী পরিবর্তন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা পাইকগাছা-কয়রার সন্তানদের যে কাউকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। বর্তমান সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ইতোমধ্যে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে চরম ইমেজ সংকটে পড়েছেন। 
বর্তমান ও সাবেক এমপির ইমেজ সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে দলের তরুণ নেতাদের। 
জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ কামরুজ্জামান জামালও মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি ইতোমধ্যে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে প্রচারণায় নেমেছে। মাঠ পর্যায়ে প্রচারণায় সাথে রয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে কয়রা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজা স¤প্রতি মাঠে নামায় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য যে সকল নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে আছেন জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল। তিনি ও তার অনুসারীরা মাঠে রয়েছেন বেশ সরব।
আসনটিতে দলের আর এক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম। তিনি ২০১৬ সালে অনানুষ্ঠানিক ভাবে আসেন জেলা আ’লীগের কমিটিতে এলেও আ’লীগের রাজনীতিতে আগে তাকে কখনো দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন দলের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা। 
আসনটিতে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী কয়রা উপজেলা আ’লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক সানা ইউনুসুর রহমানের ছেলে, কেন্দ্রীয় আ’লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য সাইফুল­াহ আল মামুন। দলের তরুন নেতা হিসেবে তিনি বেশ আলোচিত। স্থানীয় আ’লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, তিনি এলাকায় থাকেন কম তবে কোন গ্র“পিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নন। তার অনুসারীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। মাঠে অন্যান্যের মতো তৎপর না থাকলেও আলোচনায় আছেন আ’লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ শেখ শহীদুল­াহ, পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও পাইকগাছা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু।