খুলনা | শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

স্বাগতম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

|
১১:৫১ পি.এম | ১২ নভেম্বর ২০২৩


সুন্দর রূপসা নদীর তীরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুলনা শহরের মানুষ আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আজ তিনি খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেবেন এবং ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মাসেতুর অবয়বের নিচে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার উপরে সুসজ্জিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান করবেন। ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চটি তৈরি করা হচ্ছে সার্কিট হাউজের পশ্চিম পাশে আবাহনী ক্রীড়া চক্র ক্লাবের সামনে। তাতে অন্তত ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন। মঞ্চের উচ্চতা সাড়ে ১৩ ফুট। দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় পর বড় কোনো আয়োজনে যোগ দিতে খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। 
আজ সোমবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হবে জনসভা। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন বিকেল ৩টার দিকে। এতে সভাপতিত্ব করবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জনসভায় বক্তৃতা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে খুলনা নগরী নতুনরূপে সেজে উঠেছে। নগরের সর্বত্র চলছে উৎসবের আমেজ। প্লাকার্ড, পোস্টার, বিলবোর্ড, তোরণ ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে পুরো নগরজুড়ে।
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বেশ উজ্জ্বীবিত। মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলছে মাইকিং, স্বাগত জানিয়ে করা হচ্ছে মিছিল ও শোভাযাত্রা। জনসভাকে সফল করতে ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সমাবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী আসায় বিভাগের ১০ জেলায় দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আরও উজ্জীবিত। 
সমাবেশের দিন সার্কিট হাউস মাঠে থাকবেন নারী নেতা-কর্মীরা। পুরুষ নেতা-কর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরের কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ি মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে। শিববাড়ি মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এলইডি মনিটরে দেখানো হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। 
বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ থেকে যেসব পুরুষ নেতা-কর্মী আসবেন তারা রূপসা ঘাটে নেমে ফেরিতে পার হবেন। এ জন্য রূপসা ঘাটে ৫টি ফেরি দেওয়া হচ্ছে। আর নারী কর্মীদের বহনকারী বাস নগরের নতুন বাজার পর্যন্ত আসবে। এছাড়া জেলখানা ঘাটে ৩-৪টি ফেরি দেওয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের নেতা-কর্মীর জন্য আজ সকালে একটি স্পেশাল ট্রেন থাকবে। সব মিলিয়ে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত হবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। এ জনসভা সফল হোক এটাই খুলনাবাসীর কামনা। স্বাগতম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।