খুলনা | মঙ্গলবার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিএনপি নেতাদের বিবৃতির প্রতিবাদে খুলনায় আ’লী‌গের সংবাদ সম্মেলন

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:৪৮ পি.এম | ১৫ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে মহাসমুদ্রে পরিণত করায় খুলনাবাসী তথা সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে আ’লীগ। মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে বিএনপি’র বিবৃতিকে মিথ্যা, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর উলে­খ করেছে দলটি। অবিলম্বে বিবৃতি প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আ’লীগ নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নগর আ’লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর খুলনায় বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে এ অঞ্চলসহ দেশের বৈপ্লবিক উন্নয়নের যে তথ্য তুলে ধরেছেন- তা অস্বীকার করে বিএনপি অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার গঠনমূলক বক্তব্য ও তাঁর জনপ্রিয়তায় দিশেহারা হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ধৃষ্টতাপূর্ণ ও উদ্দেশ্যমূলক বিবৃতি দিয়েছেন খুলনার বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিটি প্রত্যাহার করে অবিলম্বে বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় খুলনা মহানগর ও জেলা আ’লীগ আইনের আশ্রয় নেবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি সরকারের সময়ে খুলনা তথা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোন উন্নয়নই হয়নি। বরং তারা ক্ষমতায় এসে আ’লীগ সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি একে একে বন্ধ করে দিয়েছিল। শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা তার মধ্যে অন্যতম উদাহরণ। বিবৃতিতে তারা খানজাহান আলী (রূপসা) সেতু ও খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণের বিষয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে বিএনপি সরকার এ অঞ্চলের মানুষের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ না করেই এ দু’টি প্রকল্পের লোক দেখানো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। বিএনপি’র বিবৃতিতে খুলনার পাটকল ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী বন্ধের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং শেখ হাসিনার সরকার বিএনপি কর্তৃক বন্ধকৃত পাটকল পুনরায় চালু করেছিল। ২০১১ সালের ৫ মে পিপলস্্ ও দৌলতপুর জুট মিল চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অব্যাহত লোকসানের কারণে সরকার শ্রমিক আইন অনুযায়ী সকল শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করেছে। বিএনপি’র সময়ে নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকার নিউজপ্রিন্ট মিলের অভ্যন্তরে ৫০ একর জমির ওপর ৮শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে-যার কাজ প্রায় শেষের পথে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলাকে অচল ও পরিত্যক্ত করে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকার গঠন করার পর মোংলা বন্দর সচল করার পাশাপাশি ‘ইপিজেড’ নির্মাণ করেন এবং বন্দর ও ইপিজেড’কে কেন্দ্র করে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, আ’লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মলি­ক আবিদ হোসেন কবীর, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, মকবুল হোসেন মিন্টু, বিএমএ সালাম, শ্যামল সিংহ রায়, নুর ইসলাম বন্দ, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, কামরুজ্জামাল জামাল, শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ, আলমগীর করিব, শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ শাহজাদা, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এমএ রিয়াজ কচি, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, হাফেজ মোঃ শামীম, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এড. সাইফুল ইসলাম, এ কে এম সানাউল­াহ নান্নু, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ, এসএম আকিল উদ্দিন, রনজিত কুমারা ঘোষ, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মোঃ ইমরান হোসেন প্রমুখ।