খুলনা | রবিবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১

বাজারে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না কেন?

|
১২:০৫ এ.এম | ১৮ নভেম্বর ২০২৩


অব্যাহত খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় এক বছর আগে দেশে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়, যা ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ প্রেক্ষাপটে সবাই আশা করেছিল, সরকার এমন পদক্ষেপ নেবে যাতে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকে। বাস্তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, একের পর এক নিত্যপণ্য নিয়ে ভয়াবহ কারসাজি চলছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বিশ্বের বহু দেশে কমলেও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে বাড়ছে। সোমবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 
বস্তুত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারণেই দেশে খাদ্যপণ্যের দাম লাগামহীন গতিতে বাড়তে শুরু করে। তখন থেকে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন হলো, অর্থনৈতিক সংকটে দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও আমরা তা পারছি না কেন? লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের উৎপাদন, মজুত, সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে হঠাৎ দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে; পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমার প্রভাব দেশে না পড়ার কারণ কী? যেসব পণ্য দেশে উৎপাদন করা হয়, ভরা মৌসুমে সেসব পণ্যের বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করা হয়। এসব বিবেচনায় নিলেই বাজার তদারকির দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর অদক্ষতা স্পষ্ট হয়। মূলত অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। বাজার তদারকি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতের বিষয়টি বহুল আলোচিত। সরষের ভেতরের ভূত তাড়াতে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা একেবারেই স্পষ্ট নয়। কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে হবে, সরষের ভেতরে ভূত থাকলে যত পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, কাক্সিক্ষত সুফল প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা থেকে যাবে।
গরিব মানুষ যাতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারও ক্রয় করতে পারে সেজন্য নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করার চেষ্টা করলে অথবা বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।